• ঢাকা, বাংলাদেশ

বাগেরহাটে বাঁধ ভেঙে লোকালয় প্লাবিত 

 obak 
05th Aug 2023 5:58 am  |  অনলাইন সংস্করণ

নিউজ ডেস্ক: বাগেরহাট জেলা সদর উপজেলার ভৈরব ও দড়াটানা নদীর পাশের গ্রামরক্ষা বাঁধ ভেঙে তিনটি গ্রামের সহস্রাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

শুক্রবার (৪ আগস্ট) দুপুরের জোয়ারে পানির চাপে সদরের ভদ্রপাড়া এলাকায় গ্রামরক্ষা বাঁধ ভেঙে যায়। মুহূর্তের মধ্যে ভৈরবের পানিতে প্লাবিত হয় ভদ্রপাড়া, বৈটপুর ও বেমরতা গ্রামের অধিকাংশ এলাকা।

বাড়িঘর ও রান্নাঘরে পানি ওঠে যাওয়ায় অনেক পরিবারের খাওয়া-দাওয়া বন্ধ রয়েছে। পানিতে ২৫টি মাছের ঘের ও বেশকিছু পুকুর তলিয়ে মাছ ভেসে গেছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রামরক্ষা বাঁধ উঁচু করে সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

সদরের ভদ্রপাড়া এলাকার কেরামত আলী নামে ক্ষতিগ্রস্ত এক চিংড়ি ঘের মালিক বলেন, দুপুর ২টার দিকে জোয়ারের পানির চাপে গ্রামরক্ষা বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে। পানিতে ৪টি মাছের ঘের ডুবে তার ১৫ লাখ টাকার মাছ বের হয়ে গেছে।
নাসির উদ্দিন নামে আরেকজন বলেন, জোয়ার ও বৃষ্টির পানিতে পুকুর, বাথরুম, রান্নাঘর, উঠান, বাগান সব একাকার হয়ে গেছে। বাড়ির আঙ্গিনায় হাঁটু পানি জমে রয়েছে। রান্না-বান্না বন্ধ রয়েছে।

ভদ্রপাড়া, বৈটপুর ও বেমরতা ছাড়াও সদর উপজেলার হাড়িখালি, মাঝিডাঙ্গা, মোরেলগঞ্জ উপজেলার ঘষিয়াখালী, বহরবুনিয়া, সানকিভাঙ্গা, খাওলিয়া, গাবতলা, মোংলার জয়মনির ঘোলসহ বেশকিছু এলাকা জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। রহিমাদের মতো এসব এলাকায় সহস্রাধিক পরিবারও পানিবন্দি রয়েছেন।

ঘষিয়াখালী গ্রামের জাহিদ খলিফা বলেন, বেড়িবাঁধ উপচে পানি ঢুকে শতাধিক মাছের ঘের ও বসতবাড়ি প্লাবিত হয়েছে। কয়েকদিনের জোয়ারের পানিতে হাবুডুবু খাচ্ছি। এলাকায় এখন জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের যেন জোয়ারই বিপদ। দ্রুত বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি জানাই।

বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাসুম বিল্লাহ বলেন, বিভিন্ন নদী ও খালের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। যেসব এলাকায় বেড়িবাঁধ নেই, সেসব এলাকার নিম্নাঞ্চল জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। পানি কমে গেলে প্লাবিত হওয়া এলাকাগুলোতে জরুরি ভিত্তিতে রিং-বেড়িবাঁধ করা হবে। এ ছাড়া টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য মন্ত্রণালয়ে একটি প্রকল্প পাঠানো হয়েছে।
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
এই বিভাগের আরও খবর
 

আর্কাইভ

September 2023
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930