obak
10th Aug 2023 9:07 am | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক: মশা নিয়ন্ত্রণে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার পরও সারা দেশে ডেঙ্গু মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে জলবায়ু পরিবর্তনের বৈরী প্রভাব এবং মানুষের অসচেতনাকে দায়ী করেছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দফতরে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
এবার পৃথিবীর ১৪৮ দেশে ডেঙ্গু মাত্রাতিরিক্তভাবে বেড়ে গেছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বৈরী প্রভাব এবং মানুষের অসচেতনতার কারণে এটা হচ্ছে। আবহাওয়াজনিত কারণে সারা দেশেই এডিস মশা ছড়িয়ে পড়েছে। দেশজুড়ে ডেঙ্গু সংক্রমণ বেড়ে গেছে। তবে ঢাকাসহ শহরকেন্দ্রিক ডেঙ্গু আক্রান্তের হার তুলনামূলক বেশি।
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সরকারের পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে মন্ত্রী জানান, সারা দেশে দ্রুত ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সব বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, পৌরসভা মেয়র ও সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মশক নিধনে কীটনাশক আমদানি এখন থেকে উন্মুক্ত করা হয়েছে।
মশক নিধন কার্যক্রম অব্যাহত আছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, সবাইকে সচেতন হতে হবে।
এদিকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, সারা দেশে বুধবার (৯ আগস্ট) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২ হাজার ৮৪৪ জন রোগী দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হন। যা চলতি বছর একদিনে আক্রান্তের সংখ্যার দিক থেকে সর্বোচ্চ। এর আগে গত ৬ আগস্ট একদিনে ২ হাজার ৭৬৪ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।
২৪ ঘণ্টায় যারা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ৯২ জন, আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ৭৫২ জন। এ সময়ে মারা যান আরও ১২ জন। তাদের মধ্যে ৭ জন ঢাকার বাসিন্দা এবং বাকি ৫ জন ঢাকার বাইরের। চলতি বছর মারা যাওয়া ৩৫২ জনের মধ্যে ঢাকার ২৭৬ জন এবং ঢাকার বাইরে ৭৬ জন।
বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ৯ হাজার ৪২৭ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন। ঢাকার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ৪ হাজার ৪২১ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৫ হাজার ৬ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছেন।
চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ৭৫ হাজার ৬৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৩৮ হাজার ৮১৪ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন ৩৪ হাজার ২৫৫ জন।
আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৬৫ হাজার ২৯০ জন। ঢাকায় ৩৪ হাজার ১১৭ এবং ঢাকার বাইরে ৩১ হাজার ১৭৩ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।