বন্ধ হচ্ছে ৯ আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ঝুঁকিতে আরও ১৩টি

অর্থনীতি ডেস্ক:    দেশের নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতে (এনবিএফআই) চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে (জানুয়ারি-জুন) খেলাপি ঋণ বেড়েছে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদন জানাচ্ছে, বর্তমানে এ খাতের ২০টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণের হার ৫০ থেকে ৯৯ শতাংশের মধ্যে।

এসব প্রতিষ্ঠান গ্রাহকরা আমানত ফেরত দিতে পারছে না। নতুন ঋণ বিতরণও প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। কার্যত দেউলিয়া অবস্থায় রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানায়, উচ্চ খেলাপি ঋণ ও টাকা ফেরত দিতে না পারা ২০টি প্রতিষ্ঠান কেন বন্ধ করা হবে না- জানতে চেয়ে গত মাসে নোটিশ দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।

এর মধ্যে ৯টি প্রতিষ্ঠানের ঘুরে দাঁড়ানোর কর্মপরিকল্পনা বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে সন্তোষজনক না হওয়ায় সেগুলো বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সরকারের পক্ষ থেকেও এতে সায় এসেছে।

প্রতিষ্ঠানগুলো হলো—এফএএস ফাইন্যান্স, বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি (বিআইএফসি), পিপলস লিজিং, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং, আভিভা ফাইন্যান্স, প্রিমিয়ার লিজিং, ফারইস্ট ফাইন্যান্স, জিএসপি ফাইন্যান্স ও প্রাইম ফাইন্যান্স। এসব প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণ ৮০ শতাংশ থেকে ৯৯ শতাংশের ঘরে রয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালক ও সহকারী মুখপাত্র মো. শাহরিয়ার সিদ্দিকী বলেন, আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষায় এগুলোকে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে এটা এখনো পর্যালোচনা পর্যায়ে রয়েছে। সরকার থেকে টাকা পাওয়ার পর প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। তবে যা কিছু হবে আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষা করেই হবে।

ঝুঁকির মধ্যে থাকা অন্য ১৩টি প্রতিষ্ঠান হলো—সিভিসি ফাইন্যান্স, বে লিজিং, ইসলামিক ফাইন্যান্স, মেরিডিয়ান ফাইন্যান্স, জিএসপি ফাইন্যান্স, হজ ফাইন্যান্স, ন্যাশনাল ফাইন্যান্স, আইআইডিএফসি, প্রিমিয়ার লিজিং, প্রাইম ফাইন্যান্স, উত্তরা ফাইন্যান্স, আভিভা ফাইন্যান্স, ফিনিক্স ফাইন্যান্স, পিপলস লিজিং, ফার্স্ট ফাইন্যান্স, ইউনিয়ন ক্যাপিটাল, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং, বিআইএফসি, ফারইস্ট ফাইন্যান্স ও এফএএস ফাইন্যান্স। এসব প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণ ৫০ শতাংশের ওপরে রয়েছে।

নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতে (এনবিএফআই) খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়ে সাড়ে ২৭ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। যা বিতরণকৃত ঋণের প্রায় ৩৬ শতাংশ। বর্তমানে এ খাতের ২০টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণের হার ৫০ থেকে ৯৯ শতাংশের মধ্যে। অর্থাৎ এসব প্রতিষ্ঠান কার্যত দেউলিয়া অবস্থায় রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *