অনলাইন ডেস্ক: রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী দাবি করেন, রাষ্ট্র ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যৌথভাবে এমন একটি মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়ন করতে চাইছে, যা বিএনপিকেও ঘায়েল করতে লক্ষ্য রাখে। তিনি বলেন, এটি কি কোনো গভীর নীলনকশার অংশ নয়—যা মানুষের জন্য ভাবনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
রিজভী আরও বলেন, দেশজুড়ে এমন কিছু শক্তির উত্থান ঘটছে যা গণতন্ত্রের চর্চা, ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের জন্য মারাত্মক হুমকি হিসেবে দেখা দিচ্ছে। তিনি ব্যাখ্যা করেন, বিএনপি দেশের মাটি মিশ্রিত রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংস্কৃতি চর্চা করে, যেখানে জামায়াতে ইসলামী ইসলাম প্রচারের চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে দেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হয়েছে অনেক আগেই, তাই জনগণেরও মতামত রয়েছে।
ডাকসু ও জাকসু নির্বাচনের প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, ব্যালট পেপার একটি ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানে ছাপানো হয়েছে, যার মালিকের সঙ্গে একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, সরকারি প্রেসের মাধ্যমে ব্যালট ছাপানো যেত, কিন্তু তা না করে ব্যক্তিগত প্রেসে ছাপানো হয়েছে। এমন অনিয়ম দেখে জাহাঙ্গীরনগরের শিক্ষকেরাও দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ভূমিকার সমালোচনা করে রিজভী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোড অব কনডাক্ট অনুযায়ী সাবেক শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবে না। তিনি বলেন, এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক আত্মিক সম্পর্কের পরিপন্থী এবং নির্বাচনকে একচেটিয়া করতে সরকারপন্থী কিছু মানুষের সঙ্গে আঁতাত করে উপাচার্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভূমিকা পালন করেছেন।
রিজভী আরও বলেন, অতীতে অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া অনেকেই এখন নতুন সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছেন। তারা সাংস্কৃতিক আধিপত্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালাচ্ছেন, যা দেশের গণতন্ত্র ও রাজনৈতিক স্বাভাবিকতায় প্রভাব ফেলে।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অসুস্থতা ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১৮তম কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে এই অনুষ্ঠান আয়োজন করে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ।