আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী খড়গ প্রসাদ শর্মা অলি পদত্যাগ করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন তার এক ঘনিষ্ঠ সহকারী। এর আগে সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ঘিরে চলমান আন্দোলনের মধ্যে মন্ত্রিসভার তিন সদস্য পদত্যাগ করেছিলেন।
মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছেন সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরা।
কারফিউ অমান্য করে বিক্ষুব্ধরা দেশটির বৃহত্তম রাজনৈতিক দল নেপালি কংগ্রেসের কার্যালয় ও কয়েকজন শীর্ষ নেতার বাসভবনে হামলা চালায়। এর মাত্র একদিন আগে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে অন্তত ১৯ জন নিহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাজধানী কাঠমান্ডুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
ইন্টারনেট দমন: বৈশ্বিক প্রবণতার প্রতিফলন
বিশ্লেষকদের মতে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিয়ন্ত্রণে নেপালের এ পদক্ষেপ কেবল স্থানীয় রাজনৈতিক সংকট নয়, বরং বৈশ্বিকভাবে ইন্টারনেট স্বাধীনতার পতনেরই অংশ।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আদিত্য বসিষ্ঠ বলেন, “নেপালে যা ঘটছে তা আসলে বৃহত্তর এক ধারা-গণবৃত্তান্ত নিয়ন্ত্রণ এবং মাটির বাস্তবতা থেকে উঠে আসা গল্পগুলিকে দমন করার কৌশল। প্রতিবেশী ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশেও বারবার এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। এটি এক প্রকার প্রতিষ্ঠিত প্লেবুক।”
ওয়াশিংটনভিত্তিক সংস্থা ফ্রিডম হাউসের প্রযুক্তি ও গণতন্ত্রবিষয়ক সিনিয়র গবেষক কিয়ান ভেস্টেইনসন বলেন, “সরকারগুলোর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের যুক্তিসঙ্গত স্বার্থ রয়েছে। এটি আমাদের জীবনের প্রতিদিনের অংশ এবং ব্যবসায়ও জড়িত। নিয়ম-কানুন তৈরির আলোচনা হওয়াটা যৌক্তিক।”
ফ্রিডম হাউসের সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, টানা ১৪ বছর ধরে বৈশ্বিক ইন্টারনেট স্বাধীনতা হ্রাস পাচ্ছে। ক্রমেই বেশি সরকার ভিন্নমত দমনে সোশ্যাল মিডিয়া কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে এবং রাজনৈতিক, সামাজিক বা ধর্মীয় মত প্রকাশের জন্য মানুষকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।