তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে, ডিমলায় ঢলের পানিতে ১৫ গ্রাম প্লাবিত

নীলফামারী প্রতিনিধি : জেলায় উজানের ঢল ও ভারী বর্ষণে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। প্লাবিত হয়েছে ১৫ টি গ্রাম। তিস্তার পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই, পশ্চিম ছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, গয়াবাড়ি, খালিশাচাপানী ও ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের ১৫ গ্রাম ও চরাঞ্চলে ঢলের পানি প্রবেশ করেছে। এতে করে এসব গ্রামের প্রায় তিন সহস্রাধিক পরিবারের বাড়ি ঘরে পানি ওঠেছে বলে জানান স্থানীয়রা।

জেলার ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খাঁন জানান, গতকাল মঙ্গলবার রাত থেকে নদীর পানি বাড়তে শুরু করে। আজ বুধবার সকালে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় তার ইউনিয়নের বোল্ডারের চর, খোকার চর, খাড়াপাড়া, ফ্লাটপাড়াসহ তিস্তা বেষ্টিত বিভিন্ন চর ও গ্রামের এক হাজার ৪০০ পরিবারের বাড়ি-ঘরে পানি প্রবেশ করেছে।

একই উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রবিউল ইসলাম শাহিন জানান, তিস্তায় পানি বৃদ্ধির ফলে পূর্বখড়িবাড়ি গ্রামের বেশ কিছু আবাদী জমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। চরাঞ্চলের অন্তত পাঁচ শতাধিক পরিবারের বাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। আরও পানি বাড়ার আশঙ্কায় রয়েছে এসব পরিবার।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, উজানের ঢল ও টানা বর্ষণে আজ সকাল ছয়টায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েণ্টে নদীর পানি বিপৎসীমার সাত সেণ্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। সকাল নয়টায় কিছুটা কমে পাঁচ সেণ্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে দুপুর পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা সেখানে নদীর পানি বিপৎসীমার দুই সেণ্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল। এর আগে গত ৩ আগস্ট তিস্তা ব্যারেজ পয়েণ্টে নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে পাঁচ সেণ্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল। ওই পয়েণ্টে নদীর পানি বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ১৫ মিটার।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী বলেন,‘উজানের ঢল ও টানা বর্ষণে তিস্তার পানি  আজ সকাল ছয় টায় বিপৎসীমার সাত সেণ্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। সকাল নয়টায় কিছুটা করে দুপুর পর্যন্ত পাঁচ সেণ্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে’।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *