লাইফস্টাইল ডেস্ক : হৃদরোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত তিনটি কোম্পানির তৈরি ১০ ধরনের করোনারি স্টেন্টের (হার্টের রিং) নতুন দাম কার্যকর করা হবে আগামী ১ অক্টোবর থেকে।
রাজধানীর মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সভাকক্ষে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় এক সংবাদ সম্মেলনে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক মো.আকতার হোসেন এ তথ্য জানান।
করোনারি স্টেন্ট আমদানিকারকদের আবেদনের পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর জানায়।
সংবাদ সম্মেলনে চিকিৎসক মো. আকতার হোসেন বলেন, “আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের হাতে এখনও করোনারি স্টেন্ট মজুদ থাকায় নতুন দাম বাস্তবায়নে কিছুদিন সময় চেয়ে মন্ত্রণালয় এবং ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরে আবেদন করেছে।”
“তারা বলছে তাদের কাছে আগের দামে কেনা স্টেন্টের মজুদ আছে, কারও কাছে ৬ মাস, কারও তিন বছরের। অন্যদিকে দাম কমানোর বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রচার হওয়ায় নতুন দামে স্টেন্ট দিতে হাসপাতালগুলোয় রোগীদের স্বজনরা চাপ দিচ্ছে। এসব বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের কাছে জানতে চাইলে মন্ত্রণালয় নির্দেশনা দিয়েছে। এ অবস্থায় আগামী ১ অক্টোবর থেকে ওই ১০ ধরনের হার্টের রিংয়ের নতুন দাম কার্যকর হবে।”
মো. আকতার হোসেন বলেন, “বাংলাদেশে প্রতি বছর অন্তত ৪৫ থেকে ৪৫ হাজার করোনারি স্টেন্ট প্রয়োজন হয়। নিবন্ধিত ৩১টি কোম্পানি করোনারি স্টেন্ট আমদানি করে। আমদানি করা মোট স্টেন্টের ৫০ শতাংশই এই তিনটি প্রতিষ্ঠানের। এজন্য এগুলোর দাম আগে কমানো হয়েছে। বাকী প্রতিষ্ঠানগুলোর স্টেন্টের দামও পর্যালোচনা করা হচ্ছে। সে বিষয়েও শিগগিরই সিদ্ধান্ত আসবে।”
গত ৩ অগাস্ট ওই তিনটি কোম্পানির ১০ ধরনের স্টেন্টের দাম কমায় সরকার। তাতে এগুলোর দাম তিন হাজার থেকে ৮৮ হাজার টাকা পর্যন্ত কমে।
বর্তমান নির্ধারিত কোনটার কত দাম:
মেডট্রোনিকের তৈরি রিসলিউট অনিক্সের স্টেন্টের দাম ১ লাখ ৪০ হাজার ৫০০ টাকা থেকে কমিয়ে ৯০ হাজার টাকা করা হয়েছে।
একই কোম্পানির অনিক্স ট্রুকরের দাম ৭২ হাজার টাকা থেকে করা হয়েছে ৫০ হাজার টাকা।
বস্টন সায়েন্টিফিকের প্রোমাস এলিটের দাম ৭৯ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ৭২ হাজার টাকা করা হয়েছে। প্রোমাস প্রিমিয়ার স্টেন্ট ৭৩ হাজার টাকার বদলে ৭০ হাজার, সাইনার্জির দাম ১ লাখ ১৭ হাজার টাকা থেকে ৯০ হাজার, সাইনার্জি শিল্ড ১ লাখ ২০ হাজার টাকা থেকে ৯০ হাজার টাকা এবং সাইনার্জি এক্সডি ১ লাখ ৮৮ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ১ লাখ টাকা করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, অ্যাবোটের জায়েন্স প্রাইম স্টেন্টের দাম ৬৬ হাজার ৬০০ টাকা থেকে কমিয়ে ৫০ হাজার টাকা, জায়েন্স আলপাইনের দাম ১ লাখ ৪০ হাজার ৫০০ টাকা থেকে কমিয়ে ৯০ হাজার টাকা এবং জায়েন্স সিয়েরার দাম ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ৯০ হাজার টাকা করা হয়।