Office Desk
05th Sep 2024 9:54 am | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ শাহীন শেখ : ফরিদপুরে সাবেক স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন (৭৫) সহ জেলা আওয়ামী লীগ ও দলটির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের ১৫ জনের নামে দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি দায়ের করেছেন মোঃ দিলদার হোসেন সবুজ (৫০) নামে এক ব্যক্তি। তিনি জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সহ-দপ্তর সম্পাদক।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর)২০২৪ দুপুরে ফরিদপুর আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন (দ্রুত বিচার) আদালতে অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগটি আমলে নিয়ে বিচারক নাসিম মাহমুদ ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মামলা হিসেবে নিতে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ হাসানুজ্জামান হাচান কে নির্দেশ দেন। এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফরিদপুর আদালতের কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আবুল খায়ের মিয়া।
ওই মামলায় অন্যান্যদের মধ্যে রয়েছেন, খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ছোট ভাই সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান খন্দকার মোহতেশাম হোসেন মুরগি বাবর (৭০), শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খন্দকার নাজমুল ইসলাম লেভী (৫৮), সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম জীবন (৩৫), সুপ্ত খান (২৮), সাদমান সৌমিক (২৭), অমিত সরকারসহ ১৫ জন। এছাড়া অজ্ঞাতনামা হিসেবে আরও ৩০-৪০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
ওই মামলায় বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের ২৬ মার্চ ফরিদপুর শহরের গোয়ালচামট এলাকায় শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা-কর্মীরা ফুল দিতে যান। ফুল দিয়ে ফেরার পথে ভাঙ্গা রাস্তার মোড়ে এলে খন্দকার মোশাররফ হোসেনের হুকুমে নেতা-কর্মীদের ওপর উল্লেখিতরা হকিস্টিক, লাঠিসোঁটা ও ধারালো অস্ত্র রামদা নিয়ে হামলা করে। এতে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের তৎকালীন আহ্বায়ক জুলফিকার হোসেন জুয়েলকে খুন করার উদ্দেশে খন্দকার নাজমুল ইসলাম লেভী ও সাইফুল ইসলাম জীবন রামদা দিয়ে মাথায় কোপ দেয়। এরপর মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য হাতুড়ি দিয়ে মাথায় এলোপাতাড়ি আঘাত করে রক্তাক্ত যখম করে অন্যরা।
এই হামলায় অভিযোগকারীও আহত হন এবং আহতরা পালিয়ে থেকে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেন বলে উল্লেখ করেন মামলায়। বাদীপক্ষের আইনজীবী হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, ‘অভিযোগটি দ্রুত বিচার আদালতের মামলা হিসেবে নেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে কোতোয়ালী থানার ওসি মোঃ হাসানুজ্জামান হাচান বলেন, আদালতে একটি অভিযোগ হয়েছে কোর্ট থেকে থানায় পাঠালে তা রুজু করে তদন্ত করা হবে। প্রকাশ থাকে যে এই ১৫ জন আসামিদের মধ্যে ফরিদপুরের আলোচিত ২০০০ হাজার কোটি টাকার মানি লন্ডারিং মামলায় ও অনেকে অভিযুক্ত রয়েছেন।
Array