Office Desk
17th May 2024 12:44 pm | অনলাইন সংস্করণ
শফিউল মঞ্জুর ফরিদঃ ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের গার্মেন্টস অধ্যুষিত জনবহুল উত্তর খান ও দক্ষিণ খান থানা এলাকার সর্বত্র ড্রেনেজ ব্যবস্থার কাজ চলমান থাকায় উক্ত এলাকার বেশিরভাগ রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায। উক্ত এলাকার একমাত্র চলাচলের রাস্তা আব্দুল্লাহপুর বেরিবাধ থেকে কোটবাড়ি, ফায়দাবাদ,আটিপাড়া, মাস্টারপাড়া, মাজার রোড, কাচকুড়া পর্যন্ত। সরু এই রাস্তায় দিনরাত ব্যাপী গার্মেন্টসের বড় বড় লরি ও মাল বোঝাই ট্রাক চলার কারণে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট।যা জন জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে।
প্রতিদিন রাতে সরু এই রাস্তার দুই পাশে রাস্তা আটকে চলে নির্মাণ কাজের বিভিন্ন মালামাল নামানোর কাজ ফলে ঘন্টার পর ঘন্টা আটকে থাকছে অ্যাম্বুলেন্স সহ নানা প্রকার যাত্রীবাহী গাড়ি। উক্ত রাস্তায় রাতে উত্তরখান ও দক্ষিনখান থানার টহল গাড়ি থাকা সত্ত্বেও নিচ্ছে না এর কোন ব্যবস্থ।
ভুক্তভোগীরা জানান, দিনের বেলা ভারী যানবাহন চালায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকে থেকে নাজেহাল হচ্ছেন অফিসগামী সহ স্কুল, কলেজও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের নতুন এই সাতটি ওয়ার্ডের খানাখন্দ ভরা ভাঙা সড়কগুলো মানুষের চরম কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রায়ই নতুন নতুন দুর্ভোগ পাশাপাশি সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন তারা। উন্নয়নের দৃশ্যমান ছোঁয়া লাগেনি। নতুন ওয়ার্ডগুলোর রাস্তাঘাট খানাখন্দে ভরা। অসুস্থ রোগী ছাড়াও অন্তঃসত্ত্বা ও শিক্ষার্থীদের ঝুঁকি নিয়ে এ রাস্তায় চলাচল করতে হয়। পুলিশ ফাঁড়ি থেকে জয়নাল মার্কেট, গণকবরস্থান থেকে দক্ষিণখান থানা রোড, বাবুর্চী বাড়ি রোড, হলান অটোস্ট্যান্ড থেকে নর্দাপাড়া আশকোনা প্রাইমারি স্কুল, উচ্চারটেক মেডিক্যাল রোড, দক্ষিণখান থেকে নগইরাবাড়ী রোড, পণ্ডিতপাড়া থেকে সোনার খোলা, সিটি কমপ্লেক্স রোড, দক্ষিনখান বাজার থেকে মাজার রোড, মাস্টারপাড়া হতে বালু মাঠ, শাহ কবির মাজার থেকে দক্ষিণখান, চামুরখান থেকে উত্তরখান থানা রোড, দোবাইদা থেকে সাইনবোর্ড, আটিপাড়া থেকে রাজাবাড়ী, কাঁচকুড়া বাজার থেকে বাওথার, মুন্ডা মাউসাইদ, রাজাবাড়ি ও কাওলার সড়কগুলো একেবারেই বেহাল দশা। এছাড়াও অভ্যন্তীরণ রাস্তাগুলোর এতোটাই খারাপ অবস্থা পায়ে হেঁটে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে উঠেছে।
এখানকার বিশাল জনগোষ্ঠীর একমাত্র ভরসা ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা। এ রাস্তাগুলোতে দৈনিক কয়েক হাজার অটোরিকশা চলাচল করে। কিন্তু নতুন ওয়ার্ডগুলোর রাস্তা ভাঙাচোরা থাকায় পথচারী ও যাত্রীরা নিয়মিত সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হন।
এলাকাবাসী উক্ত রাস্তায় সকাল থেকে রাত দশটা পর্যন্ত ভাড়ী যানবাহন না চলার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন সেই সাথে উক্ত রাস্তার ট্রাফিক ব্যবস্থা জোরদার করার দাবি জানিয়েছেন।