obak
18th Apr 2023 4:47 am | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদন: গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে পাকা বোরো ধানে ব্লাস্টরোগ দেখা দিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ক্ষেতের পর ক্ষেত। এই ধানে থোড় বেরোনোর পর দানা না বেঁধে পাতান চিটা হয়ে যাচ্ছে। কষ্টের আবাদ শেষ পর্যায়ে এসে এভাবে নষ্ট হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়ছেন কৃষকরা। ফসল বাঁচাতে কীটনাশক ব্যবহার করেও কোনো প্রতিকার মিলছে না।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চিটায় আক্রান্ত গাছ প্রথমে কালচে রং ধারণ করে, পরে ধূসর ও সাদা হয়ে মরে যাচ্ছে পুরো ক্ষেত। এক ধরনের ছত্রাকজাতীয় এই রোগ প্রতিরোধে কীটনাশক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নেয়া বিভিন্ন ওষুধ প্রয়োগ করেও প্রতিকার পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ অনেক কৃষকের।
কৃষকরা বলেন, ধানের শিষ ঝরে পড়ছে। আরও ক্ষেতে রাখলে আর কিছুই পাওয়া যাবে না, তাই ধান কেটে ফেলছি। শুধু তাই নয়, আমার সোয়া বিঘা জমিতে কোনো আবাদই হয় নাই।
কৃষক আসাদুজ্জামান সরদার জানান, তিনি চাষ করেছিলেন ব্রি-২৮ ধান। এ ধান চাষ করে এবার তারও সব হারানোর অবস্থা। ইতোমধ্যে মিজানের ২৫ শতক জমির ধানের শিষ শুকিয়ে সাদা হয়ে গেছে। বাকি ধান নিয়ে শঙ্কায় দিন পার করছেন তিনি।
গাইবান্ধার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত উপপরিচালক রোস্তম আলী জানান, ক্ষতি হয়েছে মাত্র ১০০ হেক্টর জমিতে। আক্রান্ত গোবিন্দগঞ্জের বিভিন্ন হাটবাজারে পরামর্শ ডেস্ক খুলে বিনামূল্যে কীটনাশক ও সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে। বিভিন্ন গ্রুপ করে মিটিংয়ের মাধ্যমে কৃষকদের সচেতন করা হচ্ছে।
গোবিন্দগঞ্জের উপসহকারী কৃষি অফিসার জিয়াউল হক বলেন, ভ্রাম্যমাণ হেল্পডেস্ক চালু করা হয়েছে; যেন কৃষকরা তাৎক্ষণিকভাবে ভালো সেবা পেতে পারে।
জেলায় এবার এক লাখ ২৮ হাজার ২০৫ হেক্টর জমিতে বোরো মৌসুমে ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে কৃষি বিভাগ।