obak
02nd Dec 2022 2:57 am | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :গত ৩২ বছরে দেশটিতে বন্দুক সহিংসতায় ১১ লাখের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ২০২১ সালে প্রাণ হারায় প্রায় ৪৯ হাজার, যা যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এক বছরে সার্বোচ্চ মৃতের সংখ্যা।
তবে সহিংসতা বাড়লেও পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মার্কিনিদের বন্দুক রাখার প্রবণতা। বর্তমানে দেশটিতে প্রতি ১০০ জনের কাছে ১২০টি আগ্নেয়াস্ত্র আছে। সম্প্রতি ‘আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন’ প্রকাশিত একটি গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।
বন্দুক সহিংসতা যেন নিত্যদিনের ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে প্রতিদিনই গুলিতে প্রাণ হারাচ্ছেন নিরীহ মানুষ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কঠোর আইন প্রয়োগের পাশাপাশি জনসচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হলেও খুব একটা কাজে আসছে না সেসব পরিকল্পনা। সম্প্রতি প্রকাশিত রেকর্ডও দিয়েছে চোখ কপালে ওঠার মতো তথ্য।
আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন প্রকাশিত একটি গবেষণা প্রতিবেদন বলছে, বিগত ৩২ বছরে দেশটিতে বন্দুক সহিংসতায় ১১ লাখের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে সাড়ে ৯ লাখ বা ৮৫ দশমিক ৮ শতাংশের বেশি পুরুষ আর দেড় লাখ বা ১৪ দশমিক ২ শতাংশের বেশি নারী। ২০২০ সালে গুলির ঘটনায় ১ থেকে ১৯ বছর বয়সীদের মৃত্যু আগের বছরের চেয়ে বেড়েছে ৩৩ শতাংশ। আর নিহতদের মধ্যে ২৫ দশমিক ৮ শতাংশই কৃষ্ণাঙ্গ।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০১৯ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে দেশটিতে বন্দুক সহিংসতার ঘটনা বেড়েছে প্রায় ২০ শতাংশ। গত বছর গুলিতে প্রাণ হারায় ৪৮ হাজার ৯৫৩ জন, যা যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এক বছরে সর্বোচ্চ। তবে একদিকে যেমন বন্দুক হামলার ঘটনা বাড়ছে, তেমনি বাড়ছে মার্কিন নাগরিকদের কাছে বন্দুক রাখার প্রবণতা। রেকর্ড বলছে, বর্তমানে প্রতি ১০০ জনের কাছে ১২০টি আগ্নেয়াস্ত্র আছে। ২০২১ সালে দেশটিতে লাইসেন্সধারী অস্ত্রের মালিকের সংখ্যা ছিল প্রায় ৬ কোটি ২০ লাখ। যে সংখ্যা গত বছর ছিল প্রায় ৫ কোটি ৩০ লাখের মতো। চলতি বছর বৈধ অস্ত্রধারীর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক সহিংসতার ঘটনায় নিজ দেশের পাশাপাশি অন্য দেশের নাগরিকরাও প্রাণ হারাচ্ছেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, মার্কিন রাজনীতিবিদদের সদিচ্ছা না থাকায় বন্দুক সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে আইন করা হলেও তার যথাযথ প্রয়োগ করা সম্ভব হচ্ছে না।