মহানগর ডেস্ক :রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধু সমবায়ের আদর্শে দেশের উৎপাদন ব্যবস্থা তৈরি করে সাধারণ মানুষের স্বনির্ভরতা অর্জনের মাধ্যমে দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের স্বপ্ন দেখেছিলেন। জাতির পিতার অর্থনৈতিক দর্শন সমবায়ের শক্তিকে একটি গণমুখী সমবায় আন্দোলনে পরিণত করতে আমি সবার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
শনিবার (৫ নভেম্বর) ‘জাতীয় সমবায় দিবস’ উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ৫১তম জাতীয় সমবায় দিবসে এবারের প্রতিপাদ্য ‘বঙ্গবন্ধুর দর্শন, সমবায়ে উন্নয়ন’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গ্রাম সমবায়ের মাধ্যমে একটি স্বনির্ভর অর্থনীতি গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। সমবায়কে তিনি উন্নয়নের অন্যতম প্রায়োগিক পদ্ধতি হিসেবে বিবেচনা করেছিলেন। সেই লক্ষ্যেই তিনি গ্রামে গ্রামে বহুমুখী কো-অপারেটিভ গড়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার ক্ষুধা, দারিদ্র্য, বৈষম্য ও দুর্নীতিমুক্ত সুখী-সমৃদ্ধ উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে নানামুখী উন্নয়নমূলক পরিকল্পনা নিয়েছে। সরকার সমবায়ের মাধ্যমে কৃষিজমি ও অন্যান্য সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, খাদ্য ও পুষ্টি চাহিদা পূরণে ব্যাপক কার্যক্রম নিয়েছে।’
রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, দারিদ্র্যবিমোচন ও নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে বিপুলসংখ্যক গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে ক্ষুদ্র ঋণ, আয়বর্ধনমূলক প্রশিক্ষণ ও উপকরণসহ বিভিন্ন সহায়তা দেয়া হচ্ছে। সমবায় আন্দোলনকে টেকসই রূপ দিতে কৃষি ও অন্যান্য উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগসহ উৎপাদিত পণ্যের বাজারজাতকরণ ও পণ্যের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করা খুবই জরুরি।
এর পাশাপাশি সমবায়ী প্রতিষ্ঠানকে হতে হবে জনমুখী এবং প্রতিটি ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।