মহানগর ডেস্ক:দিনের পর দিন উন্নয়ন প্রকল্পের খড়গ সইতে গিয়ে দিশেহারা রাজধানীবাসী। বাস র্যাপিড ট্রানজিটের (বিআরটি) কাজে রাস্তা সংকুচিত হয়ে যাওয়ায় বিমানবন্দর সড়কে অপেক্ষায় থাকতে হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। খানাখন্দে থেমে থেমে গাড়ি চলায় অতিষ্ঠ যাত্রীরা। আবার একটু বৃষ্টি হলেই ভোগান্তি বেড়ে যায় কয়েক গুণ। মেগাসিটির এমন দশায় ক্ষুব্ধ নগরবাসী।
ঘণ্টার পর ঘণ্টা একই জায়গায় আটকে থকে সারি সারি যানবাহন। পিঁপড়াগতিতে একটু একটু করে এগিয়ে যাওয়া। কয়েক গজ যাওয়ার পরই আবার স্থির হতে হয়। সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রোববার (২ অক্টোবর) সকালে ঢাকার মহাখালী থেকে বিমানবন্দরগামী সড়কের এই ছিল অবস্থা। এই সড়কে চলাচলকারী মানুষের ঠিক সময়ে অফিসে পৌঁছানো তো সম্ভব হয়ইনি, অনেকে পড়েন ফ্লাইট মিসের শঙ্কায়।
সব মিলিয়ে নাকাল মানুষের কাউকে কাউকে বাস কিংবা গাড়ি ছেড়ে দিয়ে হেঁটে গন্তব্যের দিকে রওনা হতে দেখা যায়।
বিমানবন্দর সড়কে বিআরটি প্রকল্প এখনো শেষ না হওয়ায় রাস্তার সীমানা কমে গেছে। একটু বৃষ্টিতেই তৈরি হয় খানাখন্দ। যার ফলে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজটের।
মালিবাগ-রামপুরা-বাড্ডা হয়ে এয়ারপোর্ট সড়কের পুরোটাই যানবাহনের দখলে। কিছুক্ষণ পরপর থেমে থেমে চলছে গাড়ি।
এদিকে অফিসগামী মানুষের পাশাপাশি রোগী নিয়ে ডাক্তারের কাছে যাওয়া মানুষকেও পোহাতে হচ্ছে ভোগান্তি।
ভুক্তভোগীরা বলছেন, উন্নয়নমূলক কাজ চলার কারণে যানজট লেগে আছে। তার ওপর বৃষ্টিতে যানজট আরও তীব্র হয়েছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা গাড়িতে বসে থাকতে হচ্ছে। সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছানো যাচ্ছে না।
এদিন সকালের বৃষ্টির পর গণপরিহন পেতে অনেকটা বেগ পেতে হয় যাত্রীদের। এর মধ্যে রয়েছে বাড়তি ভাড়া নেয়ার অভিযোগ। অপরদিকে গাড়িচালকরা বলছেন, সকালের বৃষ্টি আর যানজটে পাচ্ছেন না যাত্রী।
সড়কের এই উন্নয়ন প্রকল্প ও বৃষ্টির কারণে তৈরি হওয়া এই যানজট থেকে রেহাই চান নগরবাসী।