নিউজ ডেস্ক:কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, আগামী তিন বছরের মধ্যে দেশে ৪০ থেকে ৫০ ভাগ ভোজ্যতেল উৎপাদন করা হবে। এ জন্য সরিষা, সয়াবিন এবং সূর্যমুখীকে প্রাধান্য দেয়ার কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে। তা বাস্তবায়ন করা হলে দেশে ৫০ ভাগ ভোজ্যতেলের চাহিদা স্থানীয়ভাবে পূরণ করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদী তিনি।
বুধবার (৩ আগস্ট) দুপুরে বরিশাল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উদ্যোগে বরিশাল শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ‘বিদ্যমান শস্যবিন্যাসে তৈল ফসলের অন্তর্ভুক্তি এবং ধান ফসলের অধিক ফলনশীল জাতগুলোর উৎপাদন বৃদ্ধি শীর্ষক কর্মশালায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় তিনি বলেন, এ জন্য সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে সরকার এগিয়ে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে অর্থ বরাদ্দও হয়েছে। কর্মপরিকল্পনা ঠিক থাকলে ভবিষ্যতে বরিশাল ও দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল শস্যভান্ডারের আগের গৌরব পুনরুদ্ধার করে বিভিন্ন ফসল দেশের অন্যান্য অঞ্চলে সরবরাহ করতে পারবে।
সারের মূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত সরকারের আমলে যে সারের কেজি ছিল ৬০ টাকা, তা কমিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৬ টাকা করেছেন। এরপরও আন্তর্জাতিক বাজারে সারের মূল্য কমলে সরকার তা বিবেচনায় আনবে।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অর্থনৈতিক যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে, সেই রাজনৈতিক সুবিধা নিতে চায় বিএনপি। তারা যদি মনে করে দেশের মানুষ খবর রাখে না, তাহলে তারা ভুল করবে। বিএনপির লুটতরাজ দুঃশাসন ও দুর্নীতির কারণে দেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়েছিল। দেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি হয়েছিল। দেশের মানুষ তা অবগত রয়েছে।
দেশের মানুষকে আশ্বস্ত করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক কারণে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। তবে তাতে দেশে কোনো হাহাকার হবে না, চরম সংকট হবে না এবং দেশে দুর্ভিক্ষ হবে না। দেশের মানুষ আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে আছে এবং থাকবে।
অনুষ্ঠানে কৃষিসচিব মো. সায়েদুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ। আরও উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার আমিন উল আহসান ও জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দারসহ কৃষি অধিদফতরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।