নিউজ ডেস্ক:দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ বিজয়ী হবে মন্তব্য করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, তৃণমূল পর্যায়ে দলের ঐক্য গুরুত্বপূর্ণ। দল ঐক্যবদ্ধ থাকলে এবারও (দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে) ধস নামানো বিজয় হবে। শেখ হাসিনা চতুর্থবারের মতো বিজয়ী হবেন।
তিনি বলেন, বিএনপির রাজনীতি এখন আর মাঠে নেই। তারা রাত-বিরাতে বিভিন্ন দূতাবাসে ধর্ণা দিচ্ছে।রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস উপলক্ষে ‘স্বপ্ন ফাউন্ডেশন’ আয়োজিত আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ড. হাছান বলেন, ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই ভোরে বিনা ওয়ারেন্টে সবাইকে অবাক করে দিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। কারণ সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার দুর্নীতি-দুঃশাসনের বিরুদ্ধে কথা বলে ক্ষমতা গ্রহণ করলেও তারা নিজেরাই নানা অনাচার-দুর্নীতির সাথে যুক্ত হয়ে গিয়েছিল। স্বামীর অপরাধে অসুস্থ স্ত্রীকে গ্রেফতার, বাবার অপরাধে নাবালিকা সন্তানকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, গণতন্ত্রকে শিকলবন্দী করা হয়েছিল। রাজনৈতিক নেতাদের ওপর নজরদারি, সভা-সমাবেশে যাওয়া বন্ধ করা হয়েছিল এবং তখন একমাত্র জননেত্রী শেখ হাসিনা অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন।
আপোষহীন বঙ্গবন্ধুকন্যাকে গ্রেফতার করেও অন্যায়ের বিরুদ্ধে তার প্রতিবাদী কণ্ঠ স্তব্ধ করা যায়নি উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, কারাগারে থেকেই জননেত্রী যেভাবে দল পরিচালনা করেছেন আর তার প্রতিনিধি হিসেবে শ্রদ্ধাভাজন প্রয়াত নেতা জিল্লুর রহমান যেভাবে দলকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছেন- সেই কারণেই আমরা ২০০৮ সালের ১১ জুন বঙ্গবন্ধুকন্যাকে মুক্ত করতে পেরেছিলাম। খালেদা জিয়া গ্রেফতারের পর বিএনপি কোনো আন্দোলন করতে পারেনি, আমাদের আন্দোলনে খালেদা জিয়াও মুক্তি লাভ করেছিলেন।
এখনকার রাজনীতি নিয়ে মন্ত্রী বলেন, বিএনপির রাজনীতি এখন আর মাঠে নেই। রাতের বেলায় বিভিন্ন দূতাবাসে যাওয়া, পার্টি করা- এই হচ্ছে তাদের রাজনীতি। আমি তাদের অনুরোধ জানাব যে- রাতবিরাতে এদিক সেদিক ঘুরে ফিরে, দূতাবাসে ধর্ণা দিয়ে কোনো লাভ হবে না, আপনারা জনগণের কাছে যান। এগুলো ২০১৪ সালেও করেছিলেন, ২০১৮ সালেও করেছিলেন, কোনো লাভ হয় নাই, এবারও কোনো লাভ হবে না।
সম্প্রতি আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল-আইএমএফ প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন পৃথিবীর ৪১তম উল্লেখ করে তিনি বলেন, আইএমএফ তালিকায় অর্থনীতিতে পৃথিবীর প্রথম ৫০টি দেশের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়া থেকে মাত্র দু’টি দেশ- ভারত ও বাংলাদেশ। ২০২৫ সালে আমাদের অর্থনীতি আরো ওপরের দিকে যাবে।
সভায় আওয়ামী লীগের উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহম্মদ মন্নাফি, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির ও দফতর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।