obak
27th Jun 2022 4:09 am | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক:মিটার না দেখেই গ্রাহককে দেয়া হচ্ছে বিদ্যুৎ বিলের কাগজ। এতে গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা। ঠাকুরগাঁও শহরের বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ নেসকোর বিরুদ্ধে গ্রাহকদের অভিযোগের অন্ত নেই। কর্তৃপক্ষ বলছে, জনবল সংকটের কারণে সব মিটার দেখে বিল করা সম্ভব হচ্ছে না।
আধুনিক জীবনযাত্রায় প্রতিনিয়ত বাড়ছে বিদ্যুতের ব্যবহার। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বিদ্যুতের ইউনিটপ্রতি মূল্যও। তবে গ্রাহক সেবার মান নিয়ে রয়েছে বিস্তর অভিযোগ।
ঠাকুরগাঁও বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ প্রতিষ্ঠান নেসকোর বিরুদ্ধে ইচ্ছেমতো ভুতুড়ে বিল তৈরির অভিযোগ শহরের অধিকাংশ গ্রাহকের। মিটার না দেখেই ইচ্ছেমতো বিল করায় অতিরিক্ত অর্থ গুনতে হচ্ছে ভুক্তভোগীদের। আর বিল পরিশোধ না করতে পারলেই করা হচ্ছে লাইন বিচ্ছিন্ন। সংশ্লিষ্ট অফিসে ধরনা দিয়েও পাওয়া যাচ্ছে না স্থায়ী সমাধান।
গ্রাহকরা বলেন, প্রতিমাসে বিল পরিশোধ করি। দেখা যায়, কোনো মাসে মিনিমাম কিছু আসছে। আবার কোনো কোনো মাসে তিন গুণ বেশি হয়ে যায়। যে বিল আসার কথা এক থেকে দেড় হাজার টাকা, সেই বিল আসছে দুই হাজার অথবা আড়াই হাজার টাকা। এত বিল আসতে পারে না। এ রকম বিল আমরা বিশ বছর ধরে টানছি। খুব কষ্ট হচ্ছে। অফিসে গিয়ে অভিযোগ করলে বলে মিটারের ভিডিও করে আনেন।
অভিযোগের কথা স্বীকার করে জনবল সংকটের অজুহাত দেখান কর্মকর্তারা। বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুনূর রশীদ বলেন, মিটার রিডিং, বিল বিতরণ, সংযোগ দেয়া অথবা বিচ্ছিন্ন করার কাজ আছে। কিন্তু আমাদের জনবল সংকট রয়েছে।
ঠাকুরগাঁও বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ নেসকোতে ৩৭ হাজার ৫১২ গ্রাহকের বিপরীতে ২৯ কর্মচারী মিটার রিডিংসহ আরও কয়েকটি কাজের দায়িত্ব পালন করছেন।