obak
20th Jun 2022 2:21 am | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক:এক সপ্তাহ ধরে পানির নিচে সিলেট-সুনামগঞ্জ। পাহাড়ি ঢল আর টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত জনজীবন। অবর্ণনীয় দুর্দশার মধ্যে লাখ লাখ বাসিন্দা। ঘরেবাইরে পানিতে থইথই। খাবার নেই, বিদ্যুৎ নেই। যোগাযোগবিচ্ছিন্ন দুর্গত এলাকা।
স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় তছনছ জনপদ। ১৪ জুন থেকে সিলেট ও সুনামগঞ্জের ৪০ লাখ মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় মানবেতর দিন কাটাচ্ছে। পানির নিচে সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ-ভোলাগঞ্জ মহাসড়ক। জীবন বাঁচাতে ঝুঁকি নিয়ে এ সড়কেই চলাচল করছে যানবাহন, ঘটছে দুর্ঘটনাও।
ঘরেবাইরে সবখানে পানি। সিলেটের ১৩ উপজেলার মধ্যে ভারতের সীমান্তবর্তী ৫ উপজেলার লাখ লাখ মানুষও পানিবন্দি।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় থাকার জায়গা নেই, খাবার নেই। ভবনের ছাদে আশ্রয় নিয়েছে গবাদি পশু। আর নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছুটছেন বাসভাসিরা। নৌকায় করে আশ্রয়কেন্দ্রে আসছেন অনেকেই। অসুস্থ-বৃদ্ধ মানুষকে তুলে নিয়ে আনা হচ্ছে আশ্রয়কেন্দ্রে।
কারো জায়গা হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্রে, আবার অনেকে কোমরপানিতে দিন যাপন করছেন। অবর্ণনীয় দুর্দশা দুর্গত এলাকার মানুষের। এমন অবস্থায় বিদ্যুৎ নেই, নেই মোবাইল নেটওয়ার্ক। যোগাযোগ ব্যবস্থাও ভেঙে পড়েছে।
বন্যাকবলিতদের উদ্ধারে কাজ করছে সেনাবাহিনী। দুর্গত এলাকা থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হচ্ছে বঙ্গবন্ধু হাই-টেক পার্কের আশ্রয়কেন্দ্রে। এ সময় সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই-টেক পার্ক ও কাছের বন্যাকবলিত এলাকায় বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন এবং বন্যাকবলিত মানুষের সঙ্গে কথা বলেন।
তবে আশার কথা হলো, সকাল থেকে বৃষ্টি না হওয়ায় ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রাঙ্গণ থেকে নেমেছে পানি। রাত পর্যন্ত পানিবন্দি থেকে ভোগান্তিতে পড়তে হয় রোগীদের।