obak
04th Jun 2022 7:35 pm | অনলাইন সংস্করণ
রুহুল আমিন : জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ারুজ্জামান তালুকদার নাদিম দলীয় প্রতিপক্ষের দ্বারা অর্তকিত হামলা ও লাঞ্চিত হয়েছে। প্রাণ বাঁচাতে তিনি ইটাখোলা বাজারে পার্শবর্তী ব্যবসায়ীর গদিঘরে আশ্রয় নিয়ে প্রাণে রক্ষা পান।
জানা গেছে, ৪ জুন শনিবার সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কটুক্তি ও হত্যার হুমকির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করেন, ক্ষেতলাল উপজেলা আওয়ামীলীগ। দলীয় কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিলের প্রস্তুতির সময় ব্যানারে সামনে থাকা না থাকা নিয়ে জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য তাইফুল ইসলাম তালুকদার ক্ষেতলাল পৌরসভার কাউন্সিলর জুলফিকার আলী চৌধুরীকে রাজাকার পুত্র বলে আখ্যায়িত করে ব্যানারের সামনে থেকে সড়ে দেওয়ার অভিযোগ করেন ভূক্তভোগী জুলফিকার আলী চৌধুরী। এ নিয়ে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে বাক বিতন্ডা ও ধাক্কাধাক্কির সৃষ্টি হয়। পরে বিক্ষোভ মিছিল শেষে জুলফিকার আলী চৌধুরীর সমর্থকরা ইটাখোলা বাজারে লাঠি সোটা নিয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ারুজ্জামান তালুকদার নাদিমসহ তার কর্মী সমথকদের পথ রোধ করে মারপিটও মোটরসাইকেল ভাংচুর করে।
প্রাণ বাঁচাতে নাদিম তালুকদার ইটাখোলা বাজারে পার্শবর্তী ব্যবসায়িক গদিঘরে আশ্রয় নেন। ক্ষেতলাল থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে নাদিম তালুকদারকে উদ্ধার করে বাড়ী পাঠিয়ে দেন। এ নিয়ে ক্ষেতলাল বাজারসহ সর্বত্র চলছে আলোচনা সমালোচনা। আওয়ামীলীগ সমর্থক অনেকেই বলছেন, এধরনের বিশৃঙ্খলা দলীয় ভাবমূর্তি নষ্ট করবে।জুলফিকার আলী চৌধুরী বলেন, আওয়ামীলীগ কারো বাবার নয়, আমি আজকে প্রতিবাদ সভার ব্যানার ধরতে চাইলে তাইফুল ইসলাম তালুকদার আমাকে ধাক্কা মারে। তার ভাতিজা সভাপতি হওয়ার পর থেকে তিনি দলকে কুক্ষিগত করার চেষ্টা করছেন। বর্তমান কমিটিতে আমাকে কোন পদে রাখা হয়নি।এ বিষয়ে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আ’লীগের সদস্য তাইফুল ইসলাম তালুকদার বলেন, আমি তাকে ধাক্কা প্রদান করিনি। তালিকা ভূক্ত রাজাকার পুত্র হওয়ায় তাকে ব্যানারের কাছ থেকে সড়ে যেতে বলেছি মাত্র।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বলেন, মিছিলের প্রস্তুতির সময় আমি ও সভাপতি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলাম না। কিছু যদি হয়ে থাকে তা হলে আমাদের যাওয়ার আগে হয়েছে। উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ারুজ্জামান তালুকদার নাদিম বলেন, দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বানিয়েছেন। আমি সভাপতি হওয়ার পূর্বে যে সব তালিকা ভূক্ত রাজাকার পরিবারের সন্তানরা দলীয় সুযোগ সুবিধা ভোগকরে আসছিল নতুন কমিটি আসার পর সে সব তালিকা ভূক্ত রাজাকার পরিবার বা তার সন্তানরা দলীয় সুযোগ সুবিধা নিতে পারবে না। তারই অংশ হিসেবে ক্ষেতলালে কুক্ষাত রাজাকার ময়েন উদ্দিনের পুত্র জুলফিকার আলী চৌধুরীকে ব্যানারের কাছ থেকে দুরে যেতে বলা হয়েছে। পরে আমি ও আমার দলীয় লোকজনসহ বাড়ী ফেরার পাথে কুক্ষাত রাজাকার পরিবারের সন্তানরা আমার উপর অর্তকিত হামলা চালিয়ে আমার লোকজনের ৫টি মোটরসাইকেল ভাংচুর ও বেশ কয়েকজনকে আহত করেছে।
ক্ষেতলাল থানার ওসি রওশন ইয়াজদানী বলেন, ইটাখোলা বাজারে সভাপতিকে নিয়ে একটি অনাকাংঙ্খিত পরিস্থিতির উপক্রম হলে থানা পুলিশ গিয়ে তা প্রতিহত করে। এ বিষয়ে কোন অভিযোগ বা মামলা হয়নি।