খেলাধুলা:ভারত ক্রিকেট দলে ফিরতে মরিয়া দিনেশ কার্তিক। গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। যেখানেই সুযোগ পাচ্ছেন, নিজেকে প্রমাণের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন ৩৬ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার। চলমান ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর হয়ে প্রতি ম্যাচেই বিধ্বংসী ব্যাটিং করছেন কার্তিক।
এবারের আইপিএলে বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি মুস্তাফিজুর রহমান। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে সরাসরি ভারতে গেছেন এই টাইগার পেসার। আফ্রিকা সফরে উইকেটশূন্য মুস্তাফিজের লক্ষ্য, আইপিএল দিয়ে ছন্দে ফেরা।
দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে প্রথম তিন ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিং করে, সে আভাসই দিচ্ছিলেন কাটার মাস্টার। কিন্তু সবশেষ ম্যাচে ফিজের সব পরিকল্পনা মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছেন দিনেশ কার্তিক। মুস্তাফিজের এক ওভারে ২৮ রান নিয়েছেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর ব্যাটার।
শুধু এ ম্যাচই নয়, এবারের আইপিএলে প্রতি ম্যাচেই ঝড় তুলছেন কার্তিক। লোয়ার অর্ডারে ব্যাটিংয়ে নেমে ৬ ম্যাচে করেছেন ১৯৭ রান। স্ট্রাইক রেট আসরের সর্বোচ্চ প্রায় ২১০। ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন দুবার। কোহলি-ডু প্লেসি-ম্যাক্সওয়েলদের ছাপিয়ে আরসিবির নায়ক এখন তিনিই। বয়স ৩৬ বছর হলেও এমন পারফরম্যান্সে আবারও ভারতের জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন দেখছেন ডিকে।
সবশেষ ২০১৯ সালের জুলাইয়ে টিম ইন্ডিয়ার জার্সি গায়ে জড়িয়েছিলেন কার্তিক। ম্যানচেস্টারে ওডিআই বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটাই এখন পর্যন্ত তার শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ। এ বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে লোয়ার অর্ডারে ফিনিশারের ভূমিকায় ডিকে হতে পারেন দারুণ এক অপশন। ফর্মের তুঙ্গে থাকা এই উইকেটরক্ষক ব্যাটারকে দলে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি তুলেছেন ভারতীয় সমর্থকরাও।
এই দিনেশ কার্তিকের কারণেই একবার হৃদয় ভেঙেছিল টাইগারদের। ২০১৮ সালে শ্রীলঙ্কায় নিদাহাস ট্রফির ফাইনালে সুবিধাজনক অবস্থানে থেকেও এই কার্তিকের মারকুটে ব্যাটিংয়ের কাছেই হেরেছিল বাংলাদেশ। সেই ডিকেই এখন যেন আরও পরিণত, আরও আগ্রাসী। এই বয়সেও জাতীয় দলে ফিরতে নিজের সর্বোচ্চটা দিচ্ছেন নিংড়ে।