• আজকের পত্রিকা
  • ই-পেপার
  • আর্কাইভ
  • কনভার্টার
  • অ্যাপস
  • কোম্পানিগুলো যে কারণে প্রিপেইড মিটার বসাতে চায় না 

     obak 
    17th Apr 2022 4:04 pm  |  অনলাইন সংস্করণ

    নিউজ ডেস্ক:চার জনের একটি পরিবারে পুরো মাস ব্যবহার করলে গড়ে সর্বোচ্চ ৫০ ঘনমিটার গ্যাস ব্যবহার হয়। এখন প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম ১২ দশমিক ৬০ টাকা। সেই হিসাবে মাসে মিটার যুক্ত গ্যাস গ্রাহকের খরচ হয় ৬৩০ টাকা। কোনও কোনও মিটারযুক্ত গ্যাসের গ্রাহক বলছেন, মাসে গ্যাস বিলবাবদ খরচ ৫০০ টাকার মতো। অন্যদিকে, দুই বার্নারের গ্যাসের বিল মাসে ৯৭৫ টাকা। অর্থাৎ মিটারযুক্ত গ্যাস গ্রাহকদের তুলনায় মিটারবিহীন গ্যাসের গ্রাহকরা দ্বিগুণ বিল পরিশোধ করে থাকেন। সারাদেশে গ্যাসের আবাসিক গ্রাহক ৪৩ লাখ। কিন্তু এখন পর্যন্ত মাত্র ৪ লাখ গ্রাহক প্রিপেইড মিটার পেয়েছেন। এর মধ্যে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন এ পর্যন্ত জাইকার অর্থায়নে একটি প্রকল্পের আওতায় ৩ লাখ ২০ হাজার মিটার বসিয়েছে। আরও এক লাখ মিটার বসানোর জন্য একটি প্রকল্পের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আর বাকি মিটার অন্য গ্যাস বিতরণ কোম্পানির। অর্থাৎ গ্যাস ব্যবহারকারীদের মধ্যে একটি বিরাট অংশই প্রিপেইড মিটারের আওতায় নেই। জ¦ালানি বিভাগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, সরকার বলছে প্রিপেইড মিটার স্থাপনে গ্যাসের অপচয় কমবে। কিন্তু বিতরণ কোম্পানিগুলো প্রিপেইড মিটারে একেবারে আগ্রহী নয়। প্রিপেইড মিটারের সব প্রকল্পই চলছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। বছরের পর বছর ধরে প্রিপেইড মিটার স্থাপনের চেষ্টা চালালেও সেদিকে বিতরণ কোম্পানিগুলোর খুব একটা নজর নেই। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) এবং জ¦ালানি বিভাগ থেকে এর আগেও প্রিপেইড মিটার স্থাপনের জন্য বিতরণ কোম্পানিকে চাপ দেওয়া হয়। কিন্তু বিতরণ কোম্পানি এ বিষয়ে খুব একটা আগ্রহী নয়। জানতে চাইলে বিইআরসির একজন কর্মকর্তা বলেন, প্রিপেইড মিটার স্থাপন করলে একবারে বিতরণ কোম্পানির রাজস্ব আদায় অর্ধেকে নেমে আসবে। কাজেই তারা প্রিপেইড মিটার স্থাপন করতে চায় না। একই গ্যাস বিতরণে অর্ধেক রাজস্ব আদায়টি আসলে বিতরণ কোম্পানি মেনে নিতে পারছে না। যে কারণেই এখানে গতি নেই। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০১৯ সালে একটি পরিপত্রের মাধ্যমে প্রিপেইড মিটার স্থাপনের নির্দেশনা দেওয়া হয়। শুরুতে গ্রাহক অনাগ্রহী হলেও এখন সাশ্রয়ের কথা চিন্তা করে প্রিপেইড মিটার স্থাপনে গ্রাহক রাজি হচ্ছে। কিন্তু এখন প্রিপেইড মিটার পাওয়া যাচ্ছে না। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের কাছে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির যে আবেদন করা হয়েছে, সেখানে বাসাবাড়িতে দুই বার্নারের চুলা দুই হাজার টাকা এবং মিটারে প্রতি ঘনমিটারে ২৭ টাকা ৩৭ পয়সা করে দর প্রস্তাব করা হয়েছে। এই প্রস্তাবের পুরোটা মেনে নিলেও মিটার ব্যবহার করলেও এক হাজার ৩৬৮ টাকা বিল দিতে হবে। অন্যদিকে মিটার ছাড়া গ্রাহকদের জন্য বিল হাঁকা হচ্ছে দুই হাজার টাকা। উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের মধ্যে সব গ্রাহককে প্রিপেইড মিটারের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে। যদিও আগামী দুই বছরের মধ্যে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্ভব কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। তবে তিতাস গ্যাস বিতরণ কোম্পানি ১২ লাখ এবং বাখরাবাদ ও কর্ণফুলী আরও দেড় লাখ গ্রাহককে প্রিপেইড মিটারের আওতায় আনার পরিকল্পনার কথা বিইআরসিকে জানিয়েছে।

    আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
    এই বিভাগের আরও খবর
     
    Jugantor Logo
    ফজর ৪:২৭
    জোহর ১২:০৫
    আসর ৪:২৯
    মাগরিব ৬:২০
    ইশা ৭:৩৫
    সূর্যাস্ত: ৬:২০ সূর্যোদয় : ৫:৪২

    আর্কাইভ

    April 2022
    M T W T F S S
     1234
    567891011
    12131415161718
    19202122232425
    262728293031