• আজকের পত্রিকা
  • ই-পেপার
  • আর্কাইভ
  • কনভার্টার
  • অ্যাপস
  • কোনো বৈধ ইনকাম নেই, আলিশান জীবনযাপন করতেন পিয়াসা-মৌ 

     obak 
    04th Aug 2021 2:23 am  |  অনলাইন সংস্করণ

    রাজধানীর বারিধারার বাসায় গত রোববার রাতে অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্যসহ আলোচিত মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসাকে আটক করা হয়। এরপর গভীর রাতে মোহাম্মদপুরে একটি বাসা থেকে ইয়াবাসহ মডেল মৌ আক্তারকে আটক করে ডিবি।

    পিয়াসা ও মৌ একই সিন্ডিকেটে কাজ করত বলে জানিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ। তাদের কোনো বৈধ আয়ের উৎস খুঁজে পাওয়া যায়নি।

    গোয়েন্দা সূত্র জানায়, আলিশান জীবনযাপন ছিল মডেল পিয়াসা ও মৌয়ের। নামিদামি ব্র্যান্ডের প্রসাধনী, দেশি-বিদেশি দামি পোশাক, শেলফের তাকে তাকে সাজানো জুতাসহ বাহারি সব পণ্যের সমাহার ছিল তাদের বাসায়। বাসার ভেতরে প্রবেশ করলে চোখ চড়কগাছ হওয়ার উপক্রম। কারণ তাদের দৃশ্যমান আয়ের উৎসের সঙ্গে জীবনযাপনের ব্যয়ের ছিল আকাশ-পাতাল ব্যবধান। গোয়েন্দাদের ভাষায়, পিয়াসার বাসা ছিল অনেকটা ‘রাজরানি’র ঘরের মতো।

    যেখানে বিলাসী জীবনযাপনের জন্য সবই ছিল। ব্যবস্থা ছিল মনোরঞ্জনের। তারা বাসার মধ্যেই গড়ে তুলেছিলেন ‘মিনিবার’। যেখানে আনাগোনা ছিল ধনাঢ্য ব্যক্তিদের। সবচেয়ে বেশি যাতায়াত ছিল ধনীর দুলালদের। তাদের বাসায় এনে ছবি তুলে ব্ল্যাকমেইল করত দুই মডেল। নামিদামি বিভিন্ন ক্লাবের সদস্যপদ থাকার সুবাদে সেখানেও টার্গেট ঠিক করত তারা।

    অভিযান সংশ্লিষ্টরা জানান, পিয়াসা নিজেকে অত্যন্ত প্রভাবশালী মনে করত। ফলে বাসায় ডিবি পুলিশ ঢোকার পর সে অনেকটা হতভম্ব হয়ে যায়। কারণ সে এটা ভাবতেও পারেনি যে, তার বাসায় পুলিশ যেতে পারে। এটা তার চিন্তার বাইরে ছিল। ফলে হতচকিত হয়ে কী করবে-বুঝে উঠতে পারছিল না সে। পরে গোয়েন্দাদের পক্ষ থেকে তাকে বলা হয়, ‘আমরা ডিবি থেকে আসছি, সহযোগিতা করুন।’ এরপর সে অনেকটা নিশ্চুপ হয়ে যায়। শুরু হয় তল্লাশি। সেখানে একটি মিনিবারের সন্ধান পাওয়া যায়। তার বাসায় মদের বারের ফুল সেটআপ ছিল। অভিযান শেষে যখন তাকে গাড়িতে তোলা হয়, তখন সে উচ্চস্বরে কয়েক ব্যক্তির নাম বলছিল।

    ডিবি সূত্র জানায়, পিয়াসা ও মৌ একই সিন্ডিকেটে কাজ করে। পিয়াসা নিজেকে আরএম গ্রুপের পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের পরিচালক হিসেবে পরিচয় দেয়। এর বাইরে তার আয়ের বড় ধরনের কোনো উৎস পাওয়া যায়নি। আর মৌ বৈধ আয়ের কোনো উৎসই দেখাতে পারেনি। তবে তার স্বামী ও সে একাধিক ক্লাবের সদস্য।

    ডিবি পুলিশের যুগ্ম কমিশনার হারুন-অর রশীদ বলেন, দুজন (দুই মডেল) একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য। তাদের বিরুদ্ধে ব্ল্যাকমেইলিংয়ের অনেক অভিযোগ পেয়েছি। সেসব ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে তাদের বাসায় অভিযান চালানো হয়। দুজনের বাসায় বিদেশি মদ, ইয়াবা ও সিসা পাওয়া গেছে। মৌয়ের বাড়িতে মদের বারও ছিল। তিনি বলেন, গ্রেফতার হওয়া দুই মডেল হলো রাতের রানি। তারা দিনের বেলায় ঘুমায় এবং রাতে অশ্লীল কর্মকাণ্ড করে।

    আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
    এই বিভাগের আরও খবর
     
    Jugantor Logo
    ফজর ৪:২৭
    জোহর ১২:০৫
    আসর ৪:২৯
    মাগরিব ৬:২০
    ইশা ৭:৩৫
    সূর্যাস্ত: ৬:২০ সূর্যোদয় : ৫:৪২

    আর্কাইভ

    August 2021
    M T W T F S S
     12
    3456789
    10111213141516
    17181920212223
    24252627282930
    31