রতন মিয়া হত্যা মামলায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী আব্দুল হামিদ’কে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৪

স্টাফ রিপোর্টার :  র‍্যাব-৪ সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ নির্মূল ও মাদকবিরোধী অভিযানের পাশাপাশি খুন, চাঁদাবাজি, চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই চক্রের সাথে জড়িত বিভিন্ন সংঘবদ্ধ ও সক্রিয় সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগণের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে জোড়ালো তৎপরতা অব্যাহত আছে। এরই ধারাবাহিকতায় র‍্যাব-৪ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে ঢাকা জেলার সাভার মডের থানাধীন গেন্ডা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে দীর্ঘ ২০ বছর পলাতক থাকা হত্যা মামলায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী আব্দুল হামিদ (৪৫), জেলা-নওগাঁকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদ ও ঘটনার বিবরণে জানা যায় যে, ধৃত আসামি মোঃ আব্দুল হামিদ গত ১৬/০৫/২০০৪ ইং তারিখ নওগাঁ জেলার আত্রাই থানাধীন সাহেবগঞ্জ এলাকার নিজ বাড়িতে অবস্থানকালে তার সহকর্মী রতন মিয়াকে বিবাদমান কলহের জেরে লাঠিসোটা দিয়ে মাথায় আঘাত করলে ভিকটিম রতন মিয়া ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন। সংবাদ পেয়ে নওগাঁ জেলার আত্রাই থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে গ্রেপ্তারকৃত আসামি আব্দুল হামিদ ও তার অন্যান্য সহযোগীরা ঘটনাস্থল হতে সুকৌশলে পালিয়ে যায়।  উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে ভিকটিমের ছোট ভাই রিপন মিয়া বাদী হয়ে নওগাঁ জেলা আত্রাই থানায় গ্রেপ্তারকৃত আসামির বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা রজুর পর থেকে হত্যাকারী আব্দুল হামিদ আত্মগোপন করে। দীর্ঘদিন যাবত গ্রেফতারকৃত আসামীর অনুপস্থিতিতে নওগাঁ জেলার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত উক্ত আসামির বিরুদ্ধে দায়েরকৃত হত্যা মামলার বিচার কার্য চালিয়ে যায়। দীর্ঘ বিচার কার্য শেষে বিজ্ঞ আদালত বিগত ১৯/০৫/২০১০ তারিখে গ্রেপ্তারকৃত আসামি আব্দুল হামিদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত হত্যা মামলায় তাকে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত করার রায় ঘোষণা করে।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীকে আরো জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়েরের পর হতে সে পালিয়ে প্রথমে রাজশাহী, রংপুর, দিনাজপুর, ঢাকা, নরসিংদী পরবর্তীতে চট্রগ্রাম ও পার্বত্য চট্রগ্রাম জেলায় ও সর্বশেষ ঢাকা জেলার সাভার এলাকায় আত্মগোপন করে নিজের নাম, পিতার নাম ও ঠিকানা পরিবর্তন করে বসবাস করে আসছিলো। গ্রেফতারকৃত আসামি নরসিংদী জেলার রায়পুর থানা এলাকায় পরিচয় গোপন করে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে সংশ্লিষ্ঠ থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *