নিজস্ব প্রতিবেদন: অব্যাহত ভাঙনে ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে লালমনিরহাটের তিস্তা ও ধরলা নদী পাড়ের কয়েক হাজার পরিবার। এদের বেশিভাগই স্থায়ী মাথা গোঁজার ঠাঁই না পেয়ে এখন মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
সরেজমিনে গিয়ে কথা হয় আশির কাছাকাছি বয়সী মকরম আলীর সঙ্গে। তার চোখে-মুখে কষ্টের প্রতিচ্ছবি। এক সময় আবাদি জমি, বসতভিটা ও ফলের বাগান ছিল; কিন্তু এখন কিছুই নেই। সব কেড়ে নিয়েছে নদী ধরলা। সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে আশ্রয় নিয়েছেন লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাটের পরিত্যক্ত এক রেল স্টেশনে।
নদী ভাঙনে ভূমিহীন মকরম আলী বলেন, ‘নদীগর্ভে আমাদের সব জমি চলে গেছে। এখন আমরা রেলের জমিতে ঘর করে অনেক কষ্টে বসবাস করছি।’
মকরমের মতো অবস্থা নুজু মিয়ারও। তিস্তার ভাঙনের শিকার হয়েছেন আট বার। তার মতো শতশত ভূমিহীন স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য সরকারি সহায়তা চান।
ভূমিহীন নুজু মিয়া বলেন, ‘নদী আমার সব গিলে খেয়েছে। আমি আট বার নদী ভাঙনের শিকার হয়েছি। এখন অনেক কষ্টে দিন যাপন করছি।’
এদিকে, ভূমিহীনদের তালিকা করে আবাসনের ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিয়েছেন লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ।
তিনি বলেন, ‘যদি কেউ নদী ভাঙনে গৃহহীন হয়ে যান; আর সে তালিকা যদি আমাদের কাছে আসে, তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে আমরা তাদের গৃহের ব্যবস্থা করে দিতে পারবো।’
তিস্তা ও ধরলা নদীর তীরবর্তী ইউনিয়ন পরিষদগুলোর তথ্যমতে, ভূমিহীন পরিবারের সংখ্যা হাজারের অধিক।