নিজস্ব প্রতিনিধি : ২৬ আগস্ট ২০২৩ তারিখ বিকাল ৩টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ব্যাংকার্স ওয়েলফেয়ার ক্লাব বাংলাদেশ এর আয়োজনে ” বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক ও ব্যাংকিং দর্শন” শীর্ষক আলোচনা সভা সংগঠনের সভাপতি ড. তাপস চন্দ্র পাল এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন আলহাজ্ব লুৎফুর রহমান।এরপর ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ সকল শহীদদের প্রতি এবং ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে যারা শহীদ হয়েছেন সকলের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ব্যাংকার্স ওয়েলফেয়ার ক্লাব বাংলাদেশ এর সাধারণ সম্পাদক লায়ন হামিদুল আলম সখা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় এর সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান, বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক ড. আবুল কালাম আজাদ,মূখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. রতন সিদ্দিকী।অন্যানের মধ্যে আলোচনা করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক মাঈন উদ্দিন আহমদ,বাংলাদেশ ব্যাংক বঙ্গবন্ধু পরিষদ এর সাবেক সভাপতি, বর্তমান বঙ্গবন্ধু পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ নেছার আহমেদ ভূঁইয়া, জাতীয় শোক দিবস পালন কমিটির সদস্য সচিব আব্দুল হামিদ সোহাগ।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জাতীয় শোক দিবস পালন কমিটির আহ্বায়ক ও ব্যাংকার্স ওয়েলফেয়ার ক্লাব বাংলাদেশ এর যুগ্ম সম্পাদক মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম খন্দকার ও সদস্য মোঃ মুকিতুল কবির।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য অনেক পরিকল্পনা করেছিলেন।অন্ন,বস্ত্র,শিক্ষা, চিকিৎসা ও বাসস্থানের ব্যবস্থা করার উদ্যোগ গ্রহন করেন।তিনি মাত্র সাড়ে তিন বছরে কর্মসূচি গুলো বাস্তবায়ন করে যেতে পারেননি। বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে চলেছেন।
মূখ্য আলোচক ড. রতন সিদ্দিকী বলেন, প্রতিটি দেশের একজন নেতা থাকে যে একটি জাতিকে নিয়ন্ত্রণ করেন। বঙ্গবন্ধু সাড়ে সাত কোটি মানুষের কাছে পৌঁছে গিয়েছিলেন।তিনি যে জায়গায় জন্মগ্রহন করেছিলেন সেই এলাকার মানুষ জীবনের সাথে যুদ্ধ করে বেঁচে থাকতেন। সেই কস্ট বঙ্গবন্ধু নিজে দেখেছেন।তাইতো বাঙালির অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য কাজ করে গেছেন। তিনি এই বাংলাদেশের স্থপতি হয়েছেন, বঙ্গবন্ধু হয়েছেন , জাতির পিতা হয়েছেন।
তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক মুক্তির কাজগুলো করে যাচ্ছেন। যোগাযোগ অবকাঠামোর উন্নয়ন করছেন,গ্রামকে শহর করছেন,গৃহহীনকে গৃহ দিচ্ছেন।তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, ইংল্যান্ডের রানী এ্ন যেমন আমৃত্যু ক্ষমতায় ছিলেন তেমনি শেখ হাসিনাও আজীবন ক্ষমতায় থাকবেন।
সভাপতির বক্তব্যে ড. তাপস চন্দ্র পাল বলেন, ব্যাংকিং খাতে দক্ষ কর্মীরা বাংলাদেশের অর্থনীতিকে সুরক্ষা করবে।১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হবার পর বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ এ কোন টাকা ছিল না ।পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠী সব লুটে নিয়ে গেছে। বঙ্গবন্ধু সমবায়ের ভিত্তিতে দেশের অর্থনীতি কে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা পিতার আরাধ্য কাজ বাস্তবায়ন করে চলেছেন।