পোকা কামড়ের ঝুঁকি: কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন

লাইফস্টাইল ডেস্ক: সাধারণত পোকা কামড়ালে হালকা চুলকানি, লালচে দাগ বা ফোলাভাব দেখা দেয়, যা কয়েক দিনের মধ্যেই সেরে যায়। তবে কিছু বিশেষ লক্ষণ দেখা দিলে দেরি না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি।

🔴 কেন সতর্ক হতে হবে?

বর্ষাকালে পোকার কামড়ে অনেক সময় জ্বর হয়। এছাড়া নানা ধরনের পোকামাকড়ের কামড়ে ত্বকে অ্যালার্জি দেখা দিতে পারে। যদি কামড়ের জায়গায় জ্বালা বাড়ে, ফুলে যায় বা পুঁজ বের হতে শুরু করে—তাহলে তা ভালো লক্ষণ নয়। এসব ক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

⚠️ গুরুতর অ্যালার্জি বা অ্যানাফাইল্যাক্সিস

কখনো কখনো পোকার কামড় গুরুতর অ্যালার্জি সৃষ্টি করে, যাকে অ্যানাফাইল্যাক্সিস বলা হয়। এতে—

  • ত্বকে মারাত্মক প্রদাহ শুরু হয়

  • শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়

  • ঠোঁট ও জিভ ফুলে যায়

  • রক্তচাপ হঠাৎ কমে যায়

  • মাথা ঘোরা বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা তৈরি হয়

  • বমি, ডায়রিয়া বা খিঁচুনিও হতে পারে

🦟 বর্ষায় বিশেষ সতর্কতা

  • ট্রম্বিকিউলিড মাইটস বা টিক জাতীয় পরজীবী পোকা (আকার মাত্র ০.২–০.৪ মি.মি.) কামড়ালে সংক্রমণ হতে পারে। এতে জ্বর ও খিঁচুনি দেখা দেয়।

  • ডাস্ট মাইট নামের ছোট পোকারা বিছানা, কার্পেট ও আসবাবে বাসা বাঁধে। তাদের কামড়েও ত্বকে অ্যালার্জি হতে পারে।

🚨 যেসব লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসকের কাছে যাবেন

  • অতিরিক্ত চুলকানি ও লালচে র‍্যাশ

  • চোখ, মুখ, ঠোঁট বা গলার ভেতর ফুলে যাওয়া

  • বুক চেপে আসা, ব্যথা বা শ্বাসকষ্ট

  • কামড়ের জায়গায় রঙ পরিবর্তন (নীলচে বা কালো দাগ)

  • ক্ষতস্থানে ঘা বা পুঁজ হওয়া

✅ করণীয়

শুধু অ্যান্টিসেপ্টিক মলম ব্যবহার যথেষ্ট নয়। অবহেলা করলে ক্ষত থেকে গুরুতর সংক্রমণ হতে পারে। তাই উপরের কোনো লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *