আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভ আবারও রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার শিকার হয়েছে। স্থানীয় সময় রোববার (১৭ আগস্ট) রাতে চালানো এ হামলায় অন্তত ১১ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে একজন ১৩ বছর বয়সী কিশোরীও রয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
খারকিভ অঞ্চলের গভর্নর ওলেহ সিনেহুবভ টেলিগ্রামে জানান, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার পূর্ণাঙ্গ আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকেই এ শহরটি নিয়মিতভাবে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। সীমান্তঘেঁষা এই অঞ্চল উত্তরপূর্ব ইউক্রেনের জন্য কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ইউক্রেনের স্টেট এমার্জেন্সি সার্ভিস জানিয়েছে, বিস্ফোরণে আশপাশের ভবনের জানালা ভেঙে যায় এবং কিছু বাসিন্দাকে সরিয়ে নিতে হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা রয়টার্সকে বলেছেন, রাস্তায় চিকিৎসাকর্মীরা আহতদের চিকিৎসা দিচ্ছিলেন এবং উদ্ধারকর্মীরা ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শন করছিলেন।
খারকিভ ছাড়াও রাশিয়ার নির্দেশিত আকাশবোমা হামলায় উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় সুমি অঞ্চলে ৫৭ বছর বয়সী এক নারী আহত হয়েছেন। সেখানে অন্তত এক ডজন আবাসিক বাড়ি ও একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সুমি অঞ্চলের প্রশাসক ওলেহ হ্রিহোরভ অভিযোগ করেছেন, রাশিয়া রাতের অন্ধকারে ইচ্ছাকৃতভাবে বেসামরিক অবকাঠামোকে লক্ষ্য করছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, রাশিয়া ঠিক কোন অস্ত্র ব্যবহার করেছে তা স্বাধীনভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। মস্কোর পক্ষ থেকেও তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। যদিও উভয় পক্ষই বেসামরিক লোকদের লক্ষ্যবস্তু করার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে, তবে এখন পর্যন্ত নিহত হাজারো মানুষের অধিকাংশই ইউক্রেনীয়।
এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধ অবসানে নতুন করে উদ্যোগ নিয়েছেন। শুক্রবার (১৫ আগস্ট) আলাস্কায় প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি কিয়েভকে মস্কোর সঙ্গে একটি চুক্তি করতে আহ্বান জানান। তার ভাষায়, “রাশিয়া একটি অত্যন্ত বড় শক্তি, কিন্তু ইউক্রেন নয়।”