শফিউল মঞ্জুর ফরিদঃ গত ১০ই মে শুক্রবার বেলা আনুমানিক একটার দিকে মোঃ মনির চৌধুরী উত্তরা ৪ নং সেক্টর পার্ক সংলগ্ন মসজিদের ফুটপাতের উপর নিজ ব্যবহৃত এ্যাপাচি ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেলটি তালা মেরে রেখে জুম্মার নামাজ আদায় করতে মসজিদের ভিতরে প্রবেশ করেন। তিনি নামাজ আদায় শেষে এসে দেখেন মোটরসাইকেলটি নেই। আশেপাশে খোঁজ করে না পেয়ে তিনি উত্তরা পূর্ব থানায় অবহিত করেন সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট টহল টিম ইনচার্জ এসআই মোঃ মোহাইমিনুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে পৌঁছান এবং সিসি টিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে ঘটনার সত্যতা পান।
পরদিন ১১ই মে শনিবার, ভুক্তভোগী উত্তরা ৪ নং সেক্টর নিবাসী মোঃ মনির চৌধুরী বাদী হয়ে উত্তরা পূর্ব থানায় একটি চুরির মামলা রুজু করেন।
উত্তরা পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ মজিবর রহমান এর নির্দেশনা ও সার্বিক তত্ত্ববধানে, সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার জনাব সোনিয়া আক্তারের দেয়া তথ্য প্রযুক্তিগত সহযোগিতা ও গুরুত্বপূর্ন তথ্যের ভিত্তিতে, উক্ত মামলার আইও এসআই মোঃ মোহাইমিনুর রহমান সিসি টিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও সিডিএমএস ও অন্যান্য তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে আসামীর বিষয়ে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষন ও আসামী গ্রেফতার, চোরাই মালামাল উদ্ধার তথা মামলা রহস্য উৎঘাটন করার জন্য টঙ্গী গাজীপুর যান। সেখানে সন্ধিগ্ধ ব্যক্তিটির বিষয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য পান। আসামী একজন পেশাদার চোর, গাজীপুর, টঙ্গী,পূবাইল,পাবনা সদর চাটমোহর সহ বিভিন্ন থানায় তার বিরুদ্ধে ১০ টির বেশি মামলা রয়েছে। আসামী একেকে সময় একেকে নাম ব্যবহার করে থাকে, আসামীকে অন্যান্য থানার অফিসারগণও হন্য হয়ে খুজে বেড়াচ্ছেন। আসামীকে গ্রেফতারের বিষয়ে আইও সঙ্গীয় অফিসারসহ কঠোর প্রচেষ্টা চালান। বিভিন্ন সোর্স ও আধুনিক বিভিন্ন তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে অবশেষে ১৯শে মে আসামী মোঃ রনি ওরফে মোঃ রনি হোসেন ওরফে রাশেদুল ইসলাম রনি (৩০) কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় । আসামীর দেয়া তথ্য মোতাবেক চোরাইমাল উদ্ধার ও সন্ধিগ্ধ অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের জন্য আইও সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সসহ ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার আখাউড়া থানায় যান । মামলাটির নিষয়ে পুলিশ সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়ে অসীম ধৈর্যের সাথে অভিযান অব্যাহত রেখে গত ২২শে মে অপর আসামী রাব্বি হাসানকে (২৫) গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় এবং তার দেয়া তথ্য মোতাবেক পার্শ্ববর্তি কসবা থানার নয়নপুর বাজার হতে বাদীর চোরাইকৃত এ্যাপাসি আরটিআর মোটর সাইকেলটি উদ্ধার করে।
তথ্যপ্রযুক্তি ও মেধা খাটিয়ে পুলিশেরএ ধরনের উদ্ধার অভিযানের সফলতা একদিকে জনমনে যেমন আস্থা সৃষ্টি করবে, অন্যদিকে অপরাধীরা অপরাধ কর্মকাণ্ড করতে ভয় পাবে।