আব্বাস-নেতানিয়াহুর সঙ্গে এরদোয়ানের বৈঠক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস এবং ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে আগামী সপ্তাহে আলাদা বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। এই বৈঠক নিয়ে ব্যাপক ইতিবাচক সংবাদ প্রকাশ করছে ইসরাইলি মিডিয়া। আসন্ন শীর্ষ বৈঠককে একটি ‘ঐতিহাসিক ঘটনা’ হিসেবেও অভিহিত করা হচ্ছে।

সম্প্রতি পশ্চিম তীরের জেনিনে সবচেয়ে বড় হামলা চালায় ইসরাইলি বাহিনী। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে ইসরাইল। বিশেষ করে মুসলিম দেশগুলোর পক্ষ থেকে ওই হামলার তীব্র নিন্দা জানানো হয়। এছাড়া, বিচার ব্যবস্থার সংস্কারকে কেন্দ্র করে ইসরাইলজুড়ে চলছে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ। এর মধ্যেই আগামী সপ্তাহে তুরস্ক সফরে যাচ্ছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু।

দীর্ঘ ১৫ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো কোনো ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর তুরস্ক সফর নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। বিশেষ করে ইসরাইলি গণমাধ্যমগুলোতে ফলাও করে প্রচার করা হচ্ছে এ খবর, আর নেতানিয়াহুর সফরকে দেখা হচ্ছে বেশ ইতিবাচক হিসেবেই।

ইসরাইলের সঙ্গে তুরস্কের কূটনৈতিক সম্পর্কের তাৎপর্যও তুলে ধরা হচ্ছে প্রতিবেদনগুলোতে। দুই নেতা তুরস্ক-ইসরাইল সম্পর্ক এবং ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে সাম্প্রতিক ঘটনা নিয়ে আলোচনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

 
তবে নেতানিয়াহুর আগে মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) তুরস্ক সফরে যেতে পারেন ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস।
 
ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম হারেৎজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আলোচনা করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে আঙ্কারা-তেল আবিব। আর সেরগস নিউজ ওয়েবসাইট বৈঠকটিকে একটি ‘ঐতিহাসিক’ পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করেছে। দুই নেতার বৈঠকের তাৎপর্যের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলা হচ্ছে, ‘নতুন মধ্যপ্রাচ্যের’ জন্য এটি একটি সম্ভাব্য টার্নিং পয়েন্ট হতে পারে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, গত বছর ইসরাইলি প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজোগের আঙ্কারা সফরের পর তুরস্ক ও ইসরাইলের মধ্যে এক ধরনের সম্প্রীতি তৈরি হয়েছে, যা বিগত বহু বছর ধরে চলা উত্তেজনা কমিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৮ সালের পর প্রথমবারের মতো রাষ্ট্রদূত নিয়োগের পারস্পরিক সিদ্ধান্তও হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *