অপর্যাপ্ত সেতু-কালভার্ট: পানির চাপে ক্ষতিগ্রস্ত চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথ

নিউজ ডেস্ক: পর্যাপ্ত সেতু ও কালভার্টের অভাবে বন্যার পানি প্রবাহিত না হওয়ায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন ক্ষতিগ্রস্ত ও লক্ষাধিক মানুষের ঘরবাড়ি ডুবে গেছে। সম্প্রতি বন্যার কারণ অনুসন্ধানে উঠে আসে এমন তথ্য। দেখা যায় তিন কিলোমিটার সড়ক পথে ৭টি সেতু থাকলেও একই দূরত্বের নবনির্মিত রেলপথে মাত্র একটি সেতু ও তিনটি কালভার্ট করা হয়েছে। ফলে রেলপথে পানি আটকে বিস্তীর্ণ এলাকা তলিয়ে যায়।

ভয়াবহ বন্যায় নবনির্মিত চট্টগ্রাম কক্সবাজার রেললাইনের সাতকানিয়া অংশে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি পানিতে তলিয়ে যায় রেলপথের উজানের ৫ ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষের ঘরবাড়ি। স্বরণকালের এ ভয়াবহ বন্যার জন্য এলাকাবাসী রেললাইনে অপর্যাপ্ত সেতু ও কালভার্টকেই দায়ী করলেও কর্তৃপক্ষ বলছে অতিবৃষ্টিই মূল কারণ।


ভয়াবহ উজানের ঢল ও বৃষ্টিতে বন্যার কারণ অনুসন্ধানে উত্তর-দক্ষিণ চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কের সাতকানিয়ার মৌলভির দোকান থেকে কেরানিহাট পর্যন্ত তিন কিলোমিটার সড়ক পথে অনুসন্ধান চালায় সময় টিভি। এতে দেখা যায় বান্দরবান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি নামার জন্য সড়ক পথের নিচে পাঠানি পুল, নয়া পুল, ২ নম্বর ব্রিজ, নোয়া খালের ব্রিজ ও  পেয়ারঘাটাসহ ৭টি সেতু দেয়া হয়।
কিন্তু ভিন্নচিত্র ওপরের অংশের একই দূরত্বের চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথের। পানি প্রবাহের জন্য মাত্র একটি সেতু ও তিনটি কালভার্ট করা হয়। কেউটিয়া ইউনিয়নের তেমুহনীর বগার বাড়ির যেই অংশে রেললাইন পানিতে তলিয়ে গেছে সেখানে কোনো কালভার্ট ও সেতু ছিল না। ফলে পানি আটকে ওপারের ৫টি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষের ডুবে যায় ঘরবাড়ি।
স্থানীয় বাসিন্দা নাছির উদ্দীন জানান, একই জায়গায় রেল ও সড়কপথ। কিন্তু সড়ক পথে ৭টি সেতু আর রেলে ১টি। কিভাবে পানি যাবে। তাই বন্যা হয়েছে।
বেগার বাড়ির বাসিন্দা জসিম উদ্দিন জানান,  রেলের ওপারের অংশে পানি দুই ফুট উঁচু ছিল। পানি আটকে এমনটা হয়েছে।

যদিও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও প্রকল্প পরিচালক এখনো অতিবৃষ্টি ও জলবায়ু পরিবর্তনকেই দায়ী করছেন। তবে কিছুটা সুর নরম করে নতুন কালভার্ট নির্মাণের কথা জানান রেল সচিব।


রেল সচিব মো. হুমায়ুন কবির বলেন, ‘প্রয়োজনে আমরা আরও সেতু ও কালভার্ট করবো।’

প্রকল্প পরিচালক মফিজুর রহমান বলেন, ‘জালবায়ু পরিবর্তনের কারণে এটি হচ্ছে। অতিবৃষ্টি বন্যার অন্যতম কারণ। প্রাথমিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় আরও তিনটি কালভার্ট দেয়ার কথা বলছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান তমা কনস্ট্রাকশন। এবং ক্ষতিগ্রস্ত অংশে দ্রুত সংস্কার কাজ শুরু হবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *