আন্তর্জাতিক ডেস্ক:রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রথম থেকেই একটি নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে আসছে ভারত। তবে যতই সময় গড়াচ্ছে দেশটির জন্য ভারসাম্যপূর্ণ এই অবস্থান বজায় রাখা কঠিন হয়ে পড়বে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তবে সময়ের পরিক্রমায় রাশিয়া ও পশ্চিমাদের বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র হিসেবে যুদ্ধ বন্ধে নয়াদিল্লি মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করতে পারে বলেও মত তাদের। সম্প্রতি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ভারতের অবস্থান নিয়ে আল জাজিরায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে উঠে আসে এমন বক্তব্য।
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধে বড় দেশগুলোর ভূমিকা নিয়ে প্রথম থেকেই ছিল আলোচনা-সমালোচনা। বিশেষ করে ভারত ও চীনের ভূমিকা নিয়ে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের বক্তব্য। সম্প্রতি আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে সামনের দিনগুলোতে ভারতের অবস্থান কেমন হতে পারে, তা নিয়ে তুলে ধরা হয়।
এতে বলা হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ভারতের ভারসাম্য বজায় রাখা দিন দিন কঠিন হয়ে পড়ছে। তবে বিশ্লেষকদের মতে রাশিয়া ও পশ্চিমাদের বন্ধুরাষ্ট্র হিসেবে অচিরেই গুরুত্বপূর্ণ মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় দেখা যেতে পারে নয়াদিল্লিকে।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধ শুরুর পরপরই ইউক্রেনে মানবিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয় নয়াদিল্লি। যদিও পরে জাতিসংঘে মস্কোর কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানানো থেকে বিরত থেকেছে ভারত। এতে দেশটি এই ইস্যুতে ভারসাম্যের নীতি অবলম্বন করেছে বলেও মনে করেন বিশ্লেষকরা, যা ভারতের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষানীতির সঙ্গে সংগতিপূর্ণ।
বিশ্লেষকদের মতে, রাশিয়া-ইউক্রেন ইস্যুতে ভারতের অবস্থানেও নানা পরিবর্তন এসেছে। গত ১০ মাসে ভারতের আচরণে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় আবির্ভূত হওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। সম্প্রতি নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে মস্কোকে বলা হয়, যুদ্ধ শেষ করার সময় এসেছে। আর এর মধ্য দিয়ে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে বলেও মত তাদের।
শুধু তাই নয়, আগামী বছর থেকে, জি-টোয়েন্টির নেতৃত্ব দেবে ভারত। আর এতে করে যুদ্ধ বন্ধে মধ্যস্থতা করার ক্ষেত্রে নয়াদিল্লির ভূমিকা আরও বেশি প্রাধান্য পাবে বলেও মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।