আন্তর্জাতিক ডেস্ক :তেল রফতানি খাতে রাশিয়ার আয় কমাতে ঐকমত্যে পৌঁছেছেন বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতির সাত দেশের সংগঠন জি–৭ এর নেতারা। এ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ইউক্রেন যুদ্ধের ব্যয়বহনের ক্ষেত্রে রাশিয়াকে চাপে ফেলা যাবে বলে মনে করছেন তারা।ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর একের পর এক নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়তে হয় রাশিয়াকে। রুশপণ্যে শুল্ক আরোপসহ দেশটির সঙ্গে লেনদেন বন্ধ করে দেয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। আয় ধরে রাখতে চীন ও ভারতসহ বেশ কয়েকটি দেশকে কম দামে জ্বালানি সরবরাহের প্রস্তাব দেয় রাশিয়া। এভাবে এত দিন তেল বাণিজ্য চালিয়ে আসছিল দেশটি। কিন্তু এবার সেই পথ বন্ধ করতে উদ্যোগ নিচ্ছে বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতির সাত দেশের সংগঠন জি–৭।
তেল রপ্তানি খাতে রাশিয়ার আয় কমাতে ঐকমত্যে পৌঁছেছেন জি-৭ এর নেতারা। এ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ইউক্রেন যুদ্ধের ব্যয়বহনের ক্ষেত্রে রাশিয়াকে চাপে ফেলা যাবে বলে বিশ্বাস তাদের। সম্মেলনে রাশিয়ার তেল রফতানি কমাতে জি–৭ জোটের বাইরে থাকা দেশগুলোকেও পাশে থাকার আহ্বান জানানো হয়। খবর বিবিসির।
জার্মানির মিউনিখে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনের শেষ দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার (২৮ জুন) রাশিয়াকে অর্থনৈতিকভাবে চাপে রাখার ব্যাপারে আরও বেশ কয়েকটি প্রস্তাব উঠে আসে। একই সঙ্গে বিশ্ববাজারে তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সুনির্দিষ্ট দামে তেল বিক্রির প্রস্তাব দেন নেতারা।
বিশ্ববাজারে এক দামে তেল বিক্রি করতে তেল রফতানিকারক ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে আহ্বান জানানো হয়। রাশিয়ার ওপর থেকে তেল আমদানিতে নির্ভরতা কমাতে বিকল্প উৎসের ওপর জোর দেয়া হচ্ছে বলেও জানানো হয়।
তবে ইউক্রেন অভিযানে রাশিয়া নিজেদের ব্যর্থতা স্বীকার করে নিলেই এসব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে বলে জানান জি-৭ নেতারা।
জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলজ বলেন, ইউক্রেনে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া রুশ হামলার প্রকৃত অর্থ কী, তা নিয়ে আমরা আবারও আলোচনা করেছি। এটা আমাদের সবার কাছে পরিষ্কার যে এই যুদ্ধের আগের সময়ে ফিরে যাওয়া হবে না। এটাও আমাদের সবার কাছে স্পষ্ট যে আমরা অনিশ্চয়তার মুখোমুখি। এটা চ্যালেঞ্জিং এবং সে কারণেই সংকল্প এবং ঐক্য সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
এর আগে রাশিয়ার স্বর্ণ আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন জি–৭ এর নেতারা।