obak
01st Jun 2023 11:45 am | অনলাইন সংস্করণ
বানিজ্য ডেস্ক: বর্তমান আর্থসামাজিক বাস্তবতার সঙ্গে মিল রেখে আগামী অর্থবছরের জন্য সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমকে বেগবান করতে প্রায় সব ক্ষেত্রে ভাতার হার বাড়ানো হয়েছে। সঙ্গে বেড়েছে উপকারভোগীর সংখ্যা।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) বিকেল ৩টার দিকে জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ৫২তম প্রস্তাবিত বাজেট উত্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রম আমাদের অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনের অন্যতম হাতিয়ার। তাই আগামী অর্থবছরে সামাজিক সুরক্ষা খাতে কিছু কিছু ক্ষেত্রে উপকারভোগীর সংখ্যা ও ভাতার হার পরিবর্তন করা হয়েছে।’
বয়স্ক ভাতা
এবারের অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বয়স্ক ভাতাভোগীর সংখ্যা ৫৭ লাখ ১ হাজার থেকে ৫৮ লাখ ১ হাজার জন এবং মাসিক ভাতার হার ৫০০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা করা হয়েছে।
বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলা ভাতা
বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলা ভাতাভোগীর সংখ্যা ২৪ লাখ ৭৫ হাজার থেকে ২৫ লাখ ৭৫ হাজার জন এবং মাসিক ভাতার হার ৫০০ টাকা থেকে ৫৫০ টাকায় বৃদ্ধি করা হয়েছে।
প্রতিবন্ধী ভাতা
প্রতিবন্ধী ভাতাভোগীর সংখ্যা ২৩ লাখ ৬৫ হাজার থেকে ২৯ লাখ জনে বাড়ানো হয়েছে। (প্রতিবন্ধী ডাটাবেজ এর আওতাভুক্ত সবাইকে এ ভাতার আওতায় আনা হয়েছে) প্রতিবন্ধী ছাত্রছাত্রীদের মাসিক শিক্ষা উপবৃত্তির হার বাড়িয়ে প্রাথমিক স্তরে ৭৫০ টাকা থেকে ৯০০ টাকায়, মাধ্যমিক স্তরে ৮০০ টাকা থেকে ৯৫০ টাকায় এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ৯০০ টাকা থেকে ৯৫০ টাকায় বৃদ্ধি করা হয়েছে।
হিজড়া জনগোষ্ঠীর ভাতা
হিজড়া জনগোষ্ঠীর ভাতাভোগীর সংখ্যা ৪ হাজার ৮১৫ জন থেকে ৬ হাজার ৮৮০ জনে উন্নীত করা এবং বিশেষ ভাতাভোগীর সংখ্যা ২ হাজার ৬০০ জন থেকে ৫ হাজার ৬২০ জনে বৃদ্ধি করা হয়েছে।
অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন কার্যক্রমে উপকারভোগীর সংখ্যা ৬৯ হাজার ৫৭৩ জন থেকে ৮২ হাজার ৫০৩ জনে বৃদ্ধি করা এবং বিশেষ ভাতাভোগীর সংখ্যা ৪৫ হাজার ২৫০ জন থেকে ৫৪ হাজার ৩০০ জনে উন্নীত করা হয়েছে।
এ ছাড়া উপবৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা মোট ২১ হাজার ৯০৩ জন থেকে ২৬ হাজার ২৮৩ জনে বৃদ্ধি করা, মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচির উপকারভোগীর সংখ্যা ১২ লাখ ৫৪ হাজার জন থেকে ১৩ লাখ ৪ হাজার জনে উন্নীত করা, অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কার্যক্রমে উপকারভোগীর ভাতার হার দৈনিক ২০০ টাকার পরিবর্তে ৪০০ টাকায় বৃদ্ধি করা হয়েছে।
বাজেট উপস্থাপনকালে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ভাতাভোগী ও ভাতার সংখ্যা পরিবর্তন ছাড়াও সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমকে লক্ষ্যভিত্তিক, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক করার জন্য একে জি-টু-পি (Government to Person) পদ্ধতির আওতায় নিয়ে আসছি।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ২৫টি ক্যাশভিত্তিক কর্মসূচির মধ্যে ২২টি কর্মসূচির অর্থ এ পদ্ধতিতে সরাসরি উপকারভোগীর ব্যাংক হিসাব/মোবাইল ব্যাংক হিসাবে পাঠানো হচ্ছে। আগামী অর্থবছরে অবশিষ্ট ক্যাশভিত্তিক কর্মসূচিসমূহকে জি-টু-পি পদ্ধতির আওতায় আনা হবে। বর্তমানে ৮০ শতাংশের অধিক ক্যাশভিত্তিক সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির ভাতা জি-টু-পি পদ্ধতিতে প্রদান করা হচ্ছে।
‘উন্নয়নের অভিযাত্রার দেড় দশক পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা’ শীর্ষক বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন। এটি দেশের ৫২তম, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের ২৪তম এবং আ হ ম মুস্তফা কামালের পঞ্চম বাজেট।