শফিউল মঞ্জুর ফরিদ: সকল নাটকীয়তার অবসান ঘটিয়ে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভাবে সমাপ্ত হলো গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন।  স্বতন্ত্রপ্রার্থী জায়েদা খাতুন দেয়াল ঘড়ি মার্কা প্রতিক নিয়ে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী  আজমত উল্লা খানকে ১৬ হাজার ১৯৭ ভোটে পরাজিত করে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে প্রথম নারী মেয়র পেলো গুরুত্বপূর্ণ এ সিটি করপোরেশনবাসী।

জায়েদা খাতুন দেয়াল ঘড়ি প্রতীকে পেয়েছেন দুই লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৪ ভোট। তার নিকটতম প্রার্থী আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খান নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন দুই লাখ ২২ হাজার ৭৩৭ ভোট। গত ২৫শে মে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টায় রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম এ ফলাফল ঘোষণা করেন।

নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী গাজী আতাউর রহমান পেয়েছেন ৪৫ হাজার ৩৫২ ভোট। চূড়ান্ত ফলাফলে তিনি তৃতীয় হয়েছেন। নির্বাচনের অন্য মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী এম এম নিয়াজ উদ্দিন ১৬ হাজার ৩৬২ ভোট পেয়েছেন। এছাড়া গোলাপ ফুল প্রতীকে জাকের পার্টির মো. রাজু আহাম্মেদ ৭ হাজার ২০৬ ভোট, মাছ প্রতীকে গণফ্রন্টের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম ১৬ হাজার ৯৭৪ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী ঘোড়া প্রতীকের মো. হারুন-অর-রশীদ ২ হাজার ৪২৬ ভোট এবং হাতি প্রতীকের সরকার শাহনূর ইসলাম পেয়েছেন ২৩ হাজার ২৬৫ ভোট।

নব নির্বাচিত এ মেয়রের ১৯৬২ সালের ১০ফেব্রুয়ারি  গাজীপুর জেলার  কানাইয়া এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন। স্বামী প্রয়াত মিজানুর রহমান। দুই পুত্র ও এক কন্যার জননী তিনি। মনোনয়নপত্র দাখিল করার আগে জায়েদা খাতুনকে রাজনীতিতে দেখা না গেলেও সাবেক মেয়র পুত্র জাহাঙ্গীর আলমের ইমেজকে ভিত্তি করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন।

নবনির্বাচিত গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের এই মেয়র গাজীপুরবাসী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। সরকারের সহযোগিতায় ও জনগণকে সাথে নিয়ে গাজীপুরের সার্বিক উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।