আন্তর্জাতিক ডেস্ক :পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার (৪ নভেম্বর) এক টুইটবার্তায় দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেন, রাজনীতিতে সহিংসতার কোনো স্থান নেই।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) রাজধানীর ইসলামাবাদ অভিমুখে লংমার্চ চলাকালে ইমরানকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। তার এক পায়ে গুলি লাগে। ইমরান খানকে লাহোরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ব্লিংকেন বলেন, ‘আমরা ইমরান খান এবং অন্য যারা আহত হয়েছেন তাদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। সব দলের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখা উচিত। রাজনীতিতে সহিংসতার কোনো স্থান নেই।’
ইমরান খানের ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোও। বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) এক টুইটবার্তায় তিনি বলেন, ‘ইমরান খান ও তার সমর্থকদের ওপর হামলা সম্পূর্ণভাবে অগ্রহণযোগ্য। আমি দৃঢ়ভাবে এই সহিংসতার নিন্দা জানাচ্ছি। রাজনীতি, গণতন্ত্র ও সমাজ- কোথাও সহিংসতার কোনো স্থান নেই। আমি ইমরান ও আহত অন্যদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।’
এদিকে এ ঘটনায় এক হামলাকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের পুলিশ। গ্রেফতার ওই হামলাকারী জানিয়েছেন, ইমরানের প্রতি মনে ঘৃণা থাকায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটাতে চেয়েছিলেন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা গেছে, হামলাকারী বলছেন, ‘লোকজন আমাকে ইমরান খানকে নিয়ে বাজে কথা বলে ভুল বুঝিয়েছে। এ কারণে ইমরানকে হত্যা করতে চেয়েছিলাম।’ ওই যুবক আরও বলেন, ‘লংমার্চ লাহোর ছেড়ে যাওয়ার পর থেকেই আমি তাকে হত্যার পরিকল্পনা করি। তাকে হত্যা করার জন্য আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়েছি।’
পাকিস্তানে আগাম নির্বাচনের দাবিতে লাহোর থেকে রাজধানী ইসলামাবাদের উদ্দেশে লংমার্চ শুরু করেন ইমরান খান। লংমার্চে কনটেইনার ব্যবহার করে বিশেষ গাড়ি তৈরি করা হয়। গাড়িতে যাত্রা করেন ইমরান খান।