নিউজ ডেস্ক:গত মঙ্গলবার সারাদিন বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়া তিস্তার পানি বুধবার সকাল থেকে কমতে শুরু করে। সকাল ৬টায় তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ও সকাল ৯টায় ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি কমলেও ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার হাজার পরিবার এখনও পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। নীলফামারীর ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস সর্তকীকরণ কেন্দ্র জানায়, গত মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার, বিকেল ৩টায় ২৪ সেন্টিমিটার ও রাত ৯টায় ১৭ সেন্টিমিটারের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে তিস্তার পানি। তবে রাতে পানি কমতে শুরু করে। বুধবার সকাল থেকে পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তারপরও পানির গতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে। তিস্তার পানি কমতে শুরু করায় অনেক নিচু এলাকা থেকেও পানি নামতে শুরু করেছে। তারপরও পানিবন্দি রয়েছে হাজারো পরিবার। পানিবন্দি এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির অভাব। রয়েছে খাবার সঙ্কটও। অনেকেই শুকনো খাবার খেয়ে দিনতিপাত করছে। টেপাখড়িবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান ময়নুল হক জানান, তিস্তার পানি কমলেও এখনো এলাকার অনেক পরিবার পানিবন্দি রয়েছে। পানিবন্দি এলাকায় পরিবারগুলোর মাঝে শুকনো খাবার ও ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে। তাদের মাঝে আরো ত্রাণ বিতরণ করা হবে বলেও তিনি জনান। পানি উন্নয়ন বোর্ড নীলফামারীর ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসফা-উদ-দৌলা জানান, বুধবার সকাল থেকে পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সকাল ৯টায় পানি ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে যাচ্ছে। পানি কমলেও পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রেখেছি। তিস্তার ৪৪টি জলকপাট দিয়ে উজানের ঢলের পানি প্রতি মিনিটে ৪ লাখ কিউসেক করে ভাটির দিকে আসছে। এ অবস্থায় তিস্তা এলাকার নিচু এলাকায় বসবাসরত পরিবারগুলোকে নিরাপদে সরে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।