obak
26th Apr 2023 6:45 am | অনলাইন সংস্করণ
মহানগর ডেস্ক:দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণে ভুগছে মেগাসিটি ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়। তবে গত কয়েকদিন ধরে ঢাকার বাতাসের মান উন্নতির দিকে।
নির্মাণকাজ, রাস্তার ধুলা ও অন্যান্য উৎস থেকে দূষিত কণার ব্যাপক নিঃসরণের কারণে দীর্ঘদিন ধরেই ঢাকা শহরের বাতাসের গুণমান খারাপ অবস্থায় রয়েছে। ২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদফতর ও বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ঢাকার বায়ুদূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো: ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলা।
বেশ কিছুদিন বায়ুদূষণের তালিকায় প্রথম দিকেই ছিল ঢাকার অবস্থান। তবে গত কয়েকদিন বৃষ্টি ও আবহাওয়া শীতল থাকায় বুধবার (২৬ এপ্রিল) ঢাকার বাতাসের মানের বেশ উন্নতি হয়েছে। এদিন সকাল ১০টায় ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ছিল ৯৬, দূষণের দিক থেকে যা মধ্যম মানের। বায়ুমানের তালিকায় ১২তম স্থানে উঠে এসেছে রাজধানী।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার এ তালিকা প্রকাশ করেছে। ১৮৪ স্কোর নিয়ে তালিকায় শীর্ষে আছে ভারতের রাজধানী দিল্লি। পাকিস্তানের লাহোর ১৮০ এবং মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন ১৫৮ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
১০১ থেকে ২০০-এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। অন্যদিকে ৩০১ থেকে ৪০০-এর এর মধ্যে থাকা একিউআই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে; যেমন- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২ দশমিক ৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।