ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, ময়নাতদন্তের জন্য শফিকুলের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে। তাঁর গ্রামের বাড়ি নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলায়। বাবার নাম মজিবুর রহমান।
গত শনিবার এ বিস্ফোরণে দগ্ধ আটজনকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। ওই দিন রাতেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় নূর হোসেন (৬০), গাজী মাজহারুল ইসলাম (৪৫) ও আলমগীর হোসেন (২৩) মারা যান। পরদিন রোববার রাতে মারা যান মিজানুর রহমান (৩৫) নামের একজন। আর গতকাল রাতে মারা যান মাসুম আলী (৩৫) ও আল আমিন (৩০)।
মেয়াদোত্তীর্ণ হ্যান্ড স্যানিটাইজার বের করে বোতল খালি করার সময় এ বিস্ফোরণ ঘটে বলে প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে মনে করছেন পুলিশ কর্মকর্তারা। তবে ঘটনা কীভাবে ঘটেছে, সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত হতে পারেননি তাঁরা। এ ঘটনার তিন দিন পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত মামলা হয়নি।
পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম প্রথম আলোকে বলেন, গ্যারেজ ও ভাঙারির দোকানের মালিক নিজেই ভুক্তভোগী হয়েছেন। গ্যারেজে দাহ্য উপাদান কীভাবে গেছে, সেটি এখন অনুসন্ধান করা হচ্ছে। সেখানে ঘটনা কেন ঘটেছে, কীভাবে ঘটেছে, কারা দায়ী—এসব বিষয়ে অনুসন্ধান করে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।