obak
11th Oct 2022 6:49 am | অনলাইন সংস্করণ
অনলাইন ডেস্ক:দুই দফা বন্যার ধকল কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আবার তীব্র ভাঙনের কবলে পড়েছে লালমনিরহাটের ধরলা নদীর তীরবর্তী অঞ্চল। এতে ভাঙন আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটছে নদী পাড়ের মানুষের।
গত দুই সপ্তাহে ৫০ একর ফসলি জমি এবং ১৫টি বাড়ি বিলীন হয়েছে বলে দাবি এলাকাবাসীর। এ অবস্থায় প্রকল্প প্রস্তাবনা অনুমোদন হলে স্থায়ীভাবে প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণের আশ্বাস পানি উন্নয়ন বোর্ডের।
জানা গেছে, বর্ষা মৌসুমে উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানি কমে যাওয়ায় তীব্র ভাঙনের কবলে পড়েছে ধরলা নদীর তীরবর্তী লালমনিরহাট সদর উপজেলার ১৩ থেকে ১৪ কিলোমিটার এলাকা।
ফসলি জমি ছাড়াও হুমকির মুখে রয়েছে দুই গ্রামের একটি আশ্রয়ণ কেন্দ্র, বোয়ালমারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জামে মসজিদ, মাদরাসা ও কমিউনিটি ক্লিনিকসহ বেশকিছু স্থাপনা। প্রতিবছর ভাঙনের শিকার অসহায় পরিবারগুলোর দাবি ভাঙন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান বলেন, ধরলা নদীর ভাঙন রক্ষায় এরই মধ্যে একটি প্রকল্প প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে; অনুমোদন পেলে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মো. আবু জাফর বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড এরই মধ্যে প্রস্তাব পাঠিয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া গেলে সরকারি স্থাপনাগুলো রক্ষায় তারা কাজ করবেন।
গত ৫ বছরে মোগলহাট ও কুলাঘাট ইউনিয়নের বোয়ালমারী খারুয়াসহ এর আশপাশের সহস্রাধিক একর ফসলি জমি ও দুই শতাধিক বসতভিটা এবং পাকা স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।