• ঢাকা, বাংলাদেশ

গ্রিসের টার্গেটে তুরস্কের যুদ্ধবিমান, উত্তেজনা 

 obak 
29th Aug 2022 12:45 pm  |  অনলাইন সংস্করণ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :তুরস্কের একটি যুদ্ধবিমানকে গ্রিসের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার মাধ্যমে টার্গেট করায় দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। তুরস্কের দাবি, আন্তর্জাতিক আকাশসীমায় পর্যবেক্ষণ মিশনে থাকার সময় তাদের একটি যুদ্ধবিমানকে নিজেদের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার আওতায় এনে হয়রানি করেছে গ্রিস। এটিকে বৈরী তৎপরতা হিসেবে আখ্যা দিয়েছে আঙ্কারা। যদিও এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে গ্রিস বলছে সীমান্তের কাছে বিমান উড়িয়ে উস্কানি দিচ্ছে তুরস্ক। খবর গালফ নিউজের। সোমবার ভূমধ্যসাগরে আন্তর্জাতিক আকাশসীমায় নিয়মিত পর্যবেক্ষণ মিশন পরিচালনা করছিল তুরস্কের একটি এফ সিক্সটিন যুদ্ধবিমান। এ সময় নিজ দেশের ক্রিট আইল্যান্ড থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিয়ে বিমানটিকে টার্গেট হিসেবে চিহ্নিত করে গ্রিসের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। এতে গতিপথ পরিবর্তন করে মিশন শেষ করতে বাধ্য হয় তুর্কি যুদ্ধবিমান। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তুরস্ক। এক বিবৃতিতে দেশটির প্রতিরক্ষা বিভাগ জানিয়েছে, ক্রিট আইল্যান্ডে রাশিয়ার তৈরি এস-থ্রি হান্ড্রেড আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে তুর্কি বিমানকে হয়রানি করা হয়েছে। গ্রিসের এমন আচরণকে বৈরী তৎপরতা হিসেবেও অভিহিত করেছে তুর্কি প্রতিরক্ষা বিভাগ। রাশিয়ার তৈরি এস-ফোর হান্ড্রেড কেনার বিষয়ে ন্যাটোভুক্ত কয়েকটি সদস্য দেশ তুরস্কের সমালোচনা করলেও গ্রিসের এস-থ্রি হান্ড্রেড নিয়ে কিছুই বলছে না বলেও অভিযোগ করেছে তুরস্ক।তবে তুরস্কের এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে গ্রিস। গ্রিক প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রের দাবি, গ্রিসের এস-থ্রি হান্ড্রেড ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা কখনই তুর্কি যুদ্ধ বিমানকে টার্গেট করেনি। উল্টো আঙ্কারার বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করে অ্যাথেন্স বলছে, গ্রিসের সীমান্তে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অবস্থান জানতেই তিন হাজার মিটার উচ্চতায় উড়ছিল তুর্কি যুদ্ধবিমান। ন্যাটোভুক্ত দুই প্রতিবেশি দেশ তুরস্ক আর গ্রিসের মধ্যে আঞ্চলিক বিবাদ পুরোনো। ১৯৯৬ সালে পূর্ব ভূমধ্যসাগরের দুটি দ্বীপ নিয়ে উভয় দেশের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। পরে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপে মিমাংসা হয়।

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

আর্কাইভ

December 2023
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031