মহানগর ডেস্ক:বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে ১৮ দিনের সফর নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যাদের কিছুই ছিল না তারা ঘর করার পর তাদের বাড়িতে, সব বাড়িতেই কিন্তু কিছু জায়গা দেয়া আছে। সেই জায়গায় তারা তরিতরকারি, ফলমূল, শাকসবজি করছে। গরু-ছাগল-ভেড়া পালছে। এই যে উৎপাদন, এটা তো আগে ছিল না। সেটি হচ্ছে। এই উৎপাদন তো আমাদের খাদ্য নিরাপত্তা ও অর্থনীতিতে যুক্ত হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আরও ঘর তৈরি হচ্ছে। এরপর আর কেউ ভূমিহীন-গৃহহীন থাকবে না। আমাদের দলের নেতাকর্মীরা আছেন, তাদেরও বলবো, আমাকে জানান, একজন গৃহহীন ভূমিহীন মানুষ থাকলে তাকে ঘর করে দেব। একটা পরিবার ভূমিহীন এটা আমাকে জানাবেন। আমি বিনা পয়সায় ঘর করে দেব। সব কিন্তু বিনা পয়সায় দিচ্ছি।’
জ্বালানির দাম বাড়ছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, সীমিত ব্যবহার না করলে এক সময় হয়তো মাটির প্রদীপ জ্বালাতে হতে পারে। তবে, ডিজিটাল বাংলাদেশ চালানোর জন্য যেটুকু বিদ্যুৎ প্রয়োজন, সেটি সরকার উৎপাদন করতে পারবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের সবাই প্রস্তুত থাকেন। যে অবস্থা বিশ্বব্যাপী সৃষ্টি হচ্ছে….। শেষ পর্যন্ত ভেন্না গাছের তেল দিয়ে সবাইকে চলতে হবে। সেটা দিয়ে কুপি বা হারিকেন জ্বালাতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী এসময় ভেন্না গাছ সম্পর্কে ব্যাখ্যা করেন। বলেন, ‘এই গাছের তেল দিয়ে অনেকক্ষণ কুপি জ্বলে। বর্তমানে কেউ হয়তো এটা চিনবে না। ভেন্না গাছে সবুজ ফল হয়, সেটা দিয়ে তেল হয়। নদী তীরবর্তী এলাকার মাটি ভেন্নার জন্য খুবই উপযোগী।’
তিনি বলেন, ‘বিশ্বে তেলের দাম বেড়ে যাচ্ছে, গ্যাস কমে যাচ্ছে। আমরা গ্যাস সংরক্ষণের চেষ্টা করছি। বাপেক্সের কার্যক্ষমতা অনেক বৃদ্ধি করেছি। উন্নত দেশগুলোর দিকেও তাকাতে হবে। তাদের অবস্থা খারাপ। এখন থেকে সবাই হারিকেন জ্বালানোর জন্য প্রস্তুত হোন। কাঠ পুড়িয়ে রান্নার জন্যও প্রস্তুতি নেন।’