আন্তর্জাতিক ডেস্ক :তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর সংস্থা ওপেক প্লাসের তেল উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে রাশিয়া। এটি অত্যন্ত কার্যকর পদক্ষেপ বলে জানিয়েছে মস্কো।
তবে, বিশ্ব অর্থনীতির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াশিংটন। এদিকে, জোটের এমন সিদ্ধান্তে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সম্পর্কে ফাটল ধরছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
গত বুধবার অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় এক বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তি সত্ত্বেও অপরিশোধিত তেল উৎপাদন দৈনিক ২০ লাখ ব্যারল কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্বের শীর্ষ তেল উৎপাদক ও রফতানিকারক জোট ওপেক প্লাস।
সংস্থাটির এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানায় রাশিয়া। ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ওপেকভুক্ত দেশগুলোর এ সিদ্ধান্ত অত্যন্ত কার্যকর।
তবে, সৌদি নেতৃত্বাধীন এ জোটের তেল উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত বিশ্ব অর্থনীতির জন্য হুমকি বলে মন্তব্য করেছে ওয়াশিংটন।
বিশ্ব অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলেও মত মার্কিন অর্থনীতিবিদদের।
ওপেক প্লাসের এ সিদ্ধান্তের পেছনে সৌদি আরবের হাত রয়েছে বলে মনে করে যুক্তরাষ্ট্র। সংস্থার এই পদক্ষেপের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরবের মধ্যে সম্পর্কের দূরত্ব তৈরি হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেজ্ঞরা।
এরই মধ্যে তেল উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্তে মত দেয়ায় সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও সেনা প্রত্যাহারের ব্যাপারে মার্কিন কংগ্রেসে একটি বিল উত্থাপন করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশ দুটিকে শাস্তি দেয়ার লক্ষ্যেই এমন পদক্ষেপ নিয়েছে ওয়াশিংটন।
মার্কিন কংগ্রেস সদস্যদের দাবি, পারস্য উপসাগরীয় দেশ দুটি ধীরে ধীরে রাশিয়ার পক্ষে অবস্থান নিচ্ছে।
আইনপ্রণেতরা বলছেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সাম্প্রতিক মধ্যপ্রাচ্য সফর সত্ত্বেও সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত তেল উৎপাদন কমানোর পক্ষে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শত্রুতা তৈরির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। একই সঙ্গে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ ইস্যুতে রাশিয়ার পক্ষে অবস্থান নিচ্ছে। ওয়াশিংটন জানায়, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত যদি পুতিনকে সাহায্য করে, তাহলে মস্কোর কাছেই তাদের নিরাপত্তা চাওয়া উচিত।