• ঢাকা, বাংলাদেশ

ইলিশের হাঁকডাকে সরগরম মহিপুর-আলীপুর মৎস্যবন্দর 

 obak 
24th Jul 2023 6:29 am  |  অনলাইন সংস্করণ

নিউজ ডেস্ক: ৬৫ দিন পর রূপালি ইলিশের হাঁকডাকে সরগরম হয়ে উঠেছে মহিপুর-আলীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র। সোমবার (২৪ জুলাই) ভোরের আলো ফোটার আগেই ঝাঁকে ঝাঁকে রূপালি ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির সামাদ্রিক মাছ নিয়ে হাসি মুখে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে ফিরছেন জেলেরা; করছেন ক্রেতাদের হাঁকডাক।

এর আগে রোববার (২৩ জুলাই) রাত ১২টার পর থেকে সমুদ্রে নামতে শুরু করেন জেলেরা।


এ দিকে নিষেধাজ্ঞা সফল দাবি করে মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার আশা মৎস্য বিভাগের।


সরেজমিনে দেখা যায়, দীর্ঘ ৬৫ দিন বন্ধ থাকার পর আবারও সমুদ্রে যাবার জন্য পটুয়াখালীর অর্ধলাক্ষাধিক জেলে ইতিমধ্যে জাল সেলাই ট্রলার মেরামত ট্রলারে বরফ নেয়া, বাজারঘাট করাসহ সব প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন। আবার অনেকে রোববার রাতেই সমুদ্রে মাছ ধরার জন্য রওয়ানা দিয়ে সোমবার সকালে মাছ নিয়ে তীরে ফিরে এসেছেন। এতে আবারও সরগরম হয়ে উঠেছে মহিপুর আলীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সামুদ্রিক মৎস সম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই এই ৬৫ দিন সমুদ্রে মাছ ধরা বিরতির পর রোববার রাত ১২টা থেকে ইলিশ শিকারের জন্য সমুদ্রে রওয়ানা দেন পটুয়াখালীর জেলেরা। পরিবারের সচ্ছলতা ফেরাতে নতুন উদ্যমে জাল-নৌকায় রূপালি ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ নিয়ে ফিরছেন অনেকে।

জেলেরা জানান, দীর্ঘ সময় মাছ ধরা বন্ধ থাকায় তাদের দিন কেটেছে অনেক কষ্টে। অনেকেই ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। আমাদের মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে হাজার হাজার মানুষ এই পেশায় নিয়োজিত। রূপালি ইলিশের আশায় সবার মধ্যে একটি আমেজ বিরাজ করছে। আমরা আশাবাদী, কাঙ্ক্ষিত ইলিশের দেখা মিলবে। তাতে ধার দেনা পরিশোধ করতে পারবেন তারা। দীর্ঘদিনের কর্মহীন সময় আর দুর্যোগের দুঃখ-কষ্ট ভুলে রূপালি ইলিশ পাবার স্বপ্ন দেখছেন মৎস্যজীবীরা।

আলীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে আল্লার দান মৎস্য আড়তের আব্বাস হাওলাদার বলেন, ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়বে সেই আশায় লাখ লাখ টাকা ব্যয় করে ট্রলার মেরামতসহ অন্য সরঞ্জামাদি নিয়ে তারা প্রস্তুত। পর্যাপ্ত রূপালি ইলিশের দেখা মিললেই কেবল জেলেদের ধারদেনা পরিশোধ করা সম্ভব হবে। আর কাঙ্ক্ষিত মাছ না পেলে বিপদের শেষ থাকবে না।

এদিকে নিষেধাজ্ঞা সফল দাবি করে মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার আশা করছেন পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম।

পটুয়াখালী জেলা মৎস্য অফিসের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় প্রায় এক লাখেরও  বেশি জেলে রয়েছেন। এর মধ্যে সমুদ্রগামী জেলে ৪৭ হাজার ৩৭১ জন। এ সময় দুই ধাপে প্রতি জেলেকে ৮৬ কেজি করে সরকারি সহযোগিতা দেয়া হয়েছে।
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
এই বিভাগের আরও খবর
 

আর্কাইভ

September 2023
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930